পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাওয়ারের চ‚ড়া ছুঁয়ে বিদ্যুৎ লাইন চলে গেছে মাইলের পর মাইল। গ্রামের পর গ্রাম ছুঁয়ে চলে যাওয়া বিদ্যুতের তার প্রান্তিক জনপদকেও করেছে আলোকিত। বলতে গেলে, দেশের ৯৯ ভাগ জনপদই এখন বৈদ্যুতিক আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত। বিদ্যুৎ সেক্টরে এটি গত দেড় দশকের অর্জন। কিন্তু এই অর্জনের পেছনে রয়েছে এক বিশাল বিসর্জনও। হাজার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ বৈদ্যুতিক তার, উঁচু টাওয়ার, খুঁটির নিচে পড়ে অকেজো হয়ে গেছে মানুষের সোনার টুকরো জমি। বিদ্যুতের তারের নিচে পড়ায় অনেকে ফসলি জমি হারিয়েছেন। অনেকের বসতভিটা হয়েছে দিখÐিত। কারও বা ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে উঠান, ঘরের চাল কিংবা ভবনের ছাদ। কাটা পড়ছে ফলদ বৃক্ষ। ক্রমবর্ধমান মানুষ এবং জমির ক্রমঃসঙ্কোচনের ফলে বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের চাপটি পড়ছে জমিরই ওপর। তবে কি পরিমাণ বৈদ্যুতিক সঞ্চাল লাইনের কারণে অকেজো হয়ে গেছে এর সুনির্দিষ্ট মাপ-জোঁখ নেই। তবে দেশের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের দৈর্ঘ অন্তত ৬ লাখ ১৪ হাজার কিলোমিটার। এ থেকে বিদ্যুতিক কারণে জমি অকেজো হয়ে যাওয়ার পরিমাণটি আন্দাজ করা যায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের বহু দেশে বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচ দিয়ে সঞ্চালন করা হয়েছে। বাংলাদেশেরও উচিৎ এভাবে মূল্যবান জমি নষ্ট না করে বিকল্প কিছু ভাবা।
পল্লী বিদ্যুতে নষ্ট হচ্ছে জমি :
১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট অর্ডিন্যান্স বলে প্রতিষ্ঠিত হয় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। ১৯৭৮ সালে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৩ সালে অধ্যাদেশটি রহিত করা হয়। জারি করা হয় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) আইন,২০১৩। এটি এখন দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। প্রধানত গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ লাইন ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১১ সাল পর্যন্ত বিআরইবির উদ্যোগে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠিত হয়। এসব সমিতি সরকারের পরিকল্পিত ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করছে। জাতীয় গ্রিড থেকে ৩৩ কেভি লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র থেকে ১১ কেভি ফিডারের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৬ লাখ ১৪ হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন। পরিকল্পনামাফিক এগোলে ২০৩০ সাল নাগাদ সঞ্চালন লাইনের দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৬ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার। দেশে বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চালন করছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি অব বাংলাদেশ’ (পিজিসিবি)।
প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাধারণত এক কিলোমিটার গ্রিড লাইনের জন্য ৩টি টাওয়ার স্থাপন করা হয়। একটি টাওয়ারের ৪টি করে খুঁটি থাকে। এভাবে কোথাও ১০০ কিলোমিটার লাইন স্থাপন করতে গেলে ৩০০ টাওয়ার বসাতে হয়। এ জন্য ১২শ’ খুঁটি স্থাপন করতে হয়। এমনও দেখা যায়, একটি টাওয়ারের চার খুঁটি তিনজনের বা চারজনের জমিতে পড়ছে। এভাবে একেকটি টাওয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তিন থেকে চারজন জমির মালিক।
ক্ষতিপূরণের বিধান নেই :
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়ে সাধারণ মানুষের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে ঘুষ, দুর্নীতি, ভোগান্তি সৃষ্টি এবং পরিকল্পিতভাবে গ্রাহককে ক্ষতি করার অভিযোগ। চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহক বাঁশখালি উপজেলার ২নং সাধনপুর ইউনিয়নের সাবেরহাট এলাকার বাসিন্দা হোসনে আরা একটি জিডি করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, তার জমির ওপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে টানা হচ্ছে নতুন সংযোগ লাইন। তার স্বামী প্রবাসী। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন তার অসহায়ত্বের সুযোগ দিয়ে বাড়ির চলাচল পথের মাঝখানে স্থাপন করেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। এই খুঁটি থেকে তার মালিকানাধীন ১৫ শতক জমির ওপর দিয়ে আড়াআড়ি টানা হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন। এর আগে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছিল। ওই অর্থ না দেয়ায় তার জমির ওপর দিয়ে তার টানা হয়েছে। এর ফলে পথ দিয়ে চলাচল করা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তেমনি অকেজো হয়ে পড়েছে মহামূল্যবান জমি।
সূত্রমতে, পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনগুলো টানা হয় গ্রামের পাড়া-মহল্লার ভেতর দিয়ে। এতে সঞ্চালন লাইনের নিচে অনেকের ঘর, উঠান, বাগানবাড়ি পড়ে। এতেও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে বহু। তারের নিচে পড়ায় অনেককে সরাতে হচ্ছে বসত ঘর। কেটে ফেলতে হয় গাছ-গাছালি। বাড়ি-ঘরের ওপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানার কারণে মানুষ বজ্রপাত এবং বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা অহরহই ঘটছে। অথচ পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ প্রদানের কোনো বিধান নেই।
‘বিদ্যুৎ আইন-২০১৮’ বিশ্লেষণে দেখা যায়, আইনটির বিভিন্ন ধারায় বিদ্যুৎ চুরি, অপচয়, মিটার স্থাপন, বিদ্যুতের পূর্তকর্মে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদÐ এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। অর্থাৎ গ্রাহকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রয়েছে আইনের অনেক ধারা। অথচ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক এবং গ্রাহকের পক্ষে বিদ্যুৎ আইনের কোনো ধারায় ক্ষতিপূরণ লাভের সুযোগ রাখা হয়নি।
আইনটির ১৪ ধারায় ‘ভ‚মি অধিগ্রহণ’ সংক্রান্ত (১) ধারায় বলা হয়েছে, লাইসেন্সি কর্তৃক বিদ্যুৎকেন্দ্র বা উপকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কোনো ভ‚মি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হইলে উহা ‘জনস্বার্থে প্রয়োজন’ বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং ভ‚মি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন এবং বিধিবিধান অনুসরণ করিতে হইবে। ধারা (২) এ বলা হয়েছে, লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি কোম্পানি কর্তৃক বিদ্যুৎকেন্দ্র উপকেন্দ্র বা গ্রিড উপকেন্দ্রের সাথে সংযোগ লাইন নির্মাণের জন্য কোনো ভ‚মির প্রয়োজন হইলে উক্ত লাইসেন্সি সংশ্লিষ্ট ভ‚মির মালিকের নিকট হইতে ভ‚মি ক্রয় বা ভ‚মি অধিগ্রহণের জন্য প্রচলিত আইন এবং বিধিবিধান অনুসরণ করিয়া ভ‚মি অধিগ্রহণ করিতে পারিবেন।
ধারাগুলোতে লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, টাওয়ার বা পোলের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার টানার ফলে নিচে পড়ে যেসব ভ‚মি অকেজো হয়ে যাচ্ছেÑ সেটির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি কোনো ধারায়।
এসব বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিমউদ্দিনের সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, গ্রিডের টাওয়ারের জন্য ব্যবহৃত জমিতে কোনো ফসল থাকলে সেটির মূল্য পরিশোধ করা হয়। কোনো গাছ থাকলে সেটিরও মূল্য পান জমির মালিক। তবে এই ক্ষতিপূরণ আদায়ে বহু কাঠ-খড় পোড়াতে হয়। অনেক সময় দায়ের করতে হয় মামলাও। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের দিতে হয় ঘুষ এবং কমিশন। ফলে প্রকৃত ক্ষতিপূরণ জমির মালিকরা হাতে পেয়েছেনÑ এমন দৃষ্টান্ত বিরল। এছাড়া ফসল কিংবা গাছ ধ্বংস বাবদ কিছু অর্থ দেয়া হলেও জমি বাবদ কোনো অর্থ দেয়া হয় না। ফলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ফলে জমির মালিক চিরস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ, যেখানে উচ্চ ভোল্টেজের গ্রিডের টাওয়ার স্থাপন করা হয় সেখানে আর চাষবাস করা যায় না। পোল স্থাপন করা হলেও ওই জমিটুকুন ব্যবহার করা যায় না। এতে জমির মালিক চ‚ড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। জমি অধিগ্রহণ না করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিককে ক্ষতিপূরণের জন্য আইনি লড়াইয়ে যেতে হয়। এই লড়াইয়ের সামর্থও সবার থাকে না। কিন্তু যে জমির ওপর দিয়ে সঞ্চালন লাইন টানা হয়, সেই জমি চিরতরে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে সরকার গ্রিড লাইন নির্মাণ বাবদ জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে একটি বিধিমালা তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। বিদ্যুৎ আইনের বিধিমালায় এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। তবে জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ করা কিংবা ব্যবহৃত জমি অধিগ্রহণ করা হলে বিদ্যুৎ গ্রিড লাইন নির্মাণ কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছে পিজিসিবি। প্রতিষ্ঠানটির পিজিসিবি’র একজন কর্মকর্তা জানান, সারা দেশে বিদ্যুতের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য গ্রিড লাইন নির্মাণের ক্ষেত্রে জমি জটিলতায় পড়তে হবে পিজিসিবিকে। গ্রিডের রুট নির্ধারণের পর ওই এলাকায় কাজ করতে গেলে জমির মালিকরা অন্তরায় সৃষ্টি করেন। তবে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে গ্রিড নির্মাণ করা হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে পড়বে।
একই প্রতিষ্ঠানের আরেক কর্মকর্তা জানান, গ্রিড লাইন নির্মাণের প্রকল্পগুলো খুব কমক্ষেত্রেই একটি জেলায় শেষ হয়। দেখা যায় একটি গ্রিড লাইন ৩০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে হয়তো ৫টি জেল, ১০টি উপজেলা কিংবা তার চেয়ে বেশি উপজেলাকে স্পর্শ করল। ভ‚মি অফিসগুলো এমন যে সেখানে নিজে না গিয়ে বিশেষভাবে তদবির না কারলে ফাইল এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে নাড়ানো যায় না। সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও ভ‚মি অফিসগুলো কোনো ছাড় দিতে চায় না। সঙ্গত কারণে একটি গ্রিড লাইন নির্মাণ করতে যদি এক বছর সময় বেঁধে দেয়া হয়, তাহলে জমির দাবি মিটিয়ে তা অধিগ্রহণ করতেই ৫ থেকে ৬ বছর লেগে যাবে।
টেলিগ্রাফ আইনে কেড়ে নেয়া হচ্ছে জমি :
এ বিষয়ক আইন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৮৮৫ সালের ‘ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট’র আওতায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে গিয়ে অনেকটা বলপূর্বকই কেড়ে নেয়া হচ্ছে মানুষের জমি। এ আইন দ্বারা অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারত সরকার তারযুক্ত কিংবা বেতার টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, টেলিটাইপ, রেডিও যোগাযোগ এবং ডিজিটাল ডাটা যোগাযোগের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হতো। আইনটি তৎকালীন ভারতীয় ভ‚খÐের মধ্যে তারযুক্ত এবং বেতার যোগাযোগের সকল প্রকারের প্রতিষ্ঠা, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা, লাইসেন্সিং এবং তদারকি করার জন্য ভারত সরকারকে একচেটিয়া এখতিয়ার ও বিশেষ অধিকার দেয়। এই ‘অধিকার’ বলে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন স্থাপনে কৃষকের জমি ব্যবহার করা হচ্ছে অধিগ্রহণ ছাড়াই। বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন স্থাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন ঠিকাদার জানান, টাওয়ার স্থাপনের ক্ষেত্রে জমি মালিকের পক্ষ থেকে বাঁধার সম্মুখিন হলে সেটি টেলিগ্রাফ আইনের আওতায় মীমাংসা করা হয়। ফসল ও গাছের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। কিন্তু জমির ক্ষতি পূরণ দেয়া হয় না। তবে বিদ্যুৎ আইনের আওতায় জমি অধিগ্রহণ কিংবা ক্ষতিপূরণ প্রদান সংক্রান্ত একটি নীতিমালার কথা শোনা যাচ্ছে ইদানিং।
অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানার ফলে জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়ে জানতে পিজিসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়াকে তার সরকারি মোবাইল নম্বরটিতে একাধিকবার কল দেয়া হয়। প্রতিবারই ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে বিদ্যুৎ আইনে অভিজ্ঞ অ্যাডভোকেট এমএম আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্বের বহু দেশে এখন আর টাওয়ার বসিয়ে সঞ্চালন লাইন টানা হয় না। সমস্ত পাওয়ার গ্রিডের লাইন সঞ্চালন করা হচ্ছে মাটির নিচ দিয়ে। এতে মূল্যবান জমি সাশ্রয় হচ্ছে। নিরাপত্তাও নিশ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিটি বিষয়েরই মূল্য নির্ধারণ করা উচিৎ। কোনো উন্নয় কর্মকাÐের ফলে যদি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটিরও একটি মূল্য ধার্যের আইন থাকতে হবে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র। তাই রাষ্ট্র কখনও মানুষের সম্পদ কেড়ে নিতে পারে না। এটি সংবিধানেও গ্রহণযোগ্য নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।