পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এই দুই শর্তে তার সাজা স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার।
গতকাল বুধবার আইনমন্ত্রণালয় সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর মতামত দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের করা আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আজই (বুধবার) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। পরে বিকেলে মন্ত্রী বলেন, তার সাজা স্থগিতের বিষয়ে মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা আরও ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি কারাগারের বাইরে থাকতে পারবেন।
এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ৬ মাসের জন্য তারা সাজা স্থগিত করে। এ নিয়ে সাজা স্থগিতের মেয়াদ পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো হলো। আগে চতুর্থবারের মতো স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিলো সেটির মেয়াদ ২৪ মার্চ শেষ হয়ে যাবে। এর আগেই মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করার কথা জানান বেগম খালেদা জিয়ার ছোট বোন সেলিমা ইসলাম। গতকাল সকালে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি বলেন, আবেদন করা হয়েছে। আমরা আমাদের চেষ্টা করছি।
এর পরপরই দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বুধবারই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। পরে বিকেলে মন্ত্রী বলেন, তার সাজা স্থগিতের বিষয়ে মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত: ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের কারাদÐ নিয়ে কারাগারে যান বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দÐ বাতিলের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করার পর দুর্নীতি দমন কমিশনও সাজা বাড়ানোর আপিল করে। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে সাজা বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ১০ বছর করে দেন। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আরও ৭ বছর কারাদÐ হয়।
সাজা স্থগিতাদেশের আওতায় গত দুই বছর ধরেই কারাগারে বাইরে নিজ বাসভবনে অবস্থান করছেন বেগম খালেদা জিয়া।
তবে গত বছল এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বছরের ২৭ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ভর্তি হন হাসপাতালটিতে। থাকেন ৫৩ দিন। বাসায় ফেরেন ১৯ জুন। দ্বিতীয় দফায় একই বছরের ১২ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ২৬ দিন হাসপাতালে থাকার পর কেবল ৭ দিন তিনি নিজ বাসভবন ফিরোজায় কাটিয়েছেন।
তৃতীয় দফা হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে গত ১ ফেব্রæয়ারি এভারকেয়ার থেকে বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন। তৃতীয় দফায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন গত ১৩ নভেম্বর। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের নেত্রীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা দাবি করেন, দেশে এর চিকিৎসা নেই। বিদেশে পাঠাতে দেরি হলে যেকোনো কিছু একটা হয়ে যেতে পারে।
এ সময় বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে নানা কর্মসূচি পালন করে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদেশে যাওয়ার সুযোগ চেয়ে আবেদন করতে হলে আবার কারাগারে যেতে হবে।
আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তির ৮১ দিনের মাথায় গত ১ ফেব্রæয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। দুই বছর আগে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি দূরে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি কোনো রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিবৃতি দেননি। দলীয় কোনো বৈঠকে অংশ নেননি, এমনকি জাতীয় দিবস বা ঈদ-পূজার মতো উৎসবেও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।