পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাজারে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং সেল গঠন ও নীতিমালা তৈরি নিয়ে মজুতদারদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে-জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করা অবৈধ জোটবদ্ধ (সিন্ডিকেট) ব্যবসা প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামি ২৬ এপ্রিলের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গতকাল রিটের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবির,আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট মনির হোসেন। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা শুনানিতে অংশ নেন। আদেশের বিষয়ে সৈয়দ মহিদুল কবির জানান,সব ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুতদাররের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করা অবৈধ জোটবদ্ধ (সিন্ডিকেশন) ব্যবসা বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সেই সঙ্গে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করা জোটবদ্ধ (সিন্ডিকেশন) দুষ্কৃতকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া অবৈধ জোটবদ্ধ ব্যবসা প্রতিরোধে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২-এর ২১(১) ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রবিধান প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং চাল, ডাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির ওএমএস (খোলাবাজারে বিক্রয়) নীতিতে রেশন কার্ডের বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-এ রুলে এ প্রশ্ন রাখা হয়।
ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত: গত ৩ মার্চ দেশের বাজারে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার ঘটনাটি উচ্চ আদালতের নজরে আনা হয়। এরপর সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা চেয়ে গত ৬ মার্চ রিট করেন তিন আইনজীবী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।