পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর উত্তরায় উচ্ছেদের দুই মাস পর আবারও রাস্তা দখল করে দোকান নিয়ে বসছেন হকাররা। দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর উত্তরার বিভিন্ন রাস্তা থেকে হকার উচ্ছেদ করে স্থানীয় প্রশাসন। উচ্ছেদের প্রতিবাদে ৮ জানুয়ারি ঢাকা-ময়মনসিংহ রাস্তা অবরোধ করে পুনর্বাসন জানিয়েছিল তারা। বর্তমানে আবারও বিভিন্ন রাস্তা দখল করে ব্যবসা শুরু করায় যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হকার উচ্ছেদের পর প্রায় দুই মাস সস্তিতে রাস্তায় চলাচল করেছেন তারা। হকাররা প্রায় পুরো রাস্তা আটকিয়ে দোকান বসতো। ফলে পুরো রাস্তায় সব সময় যানজট লেগেই থাকতো। বর্তমানে আবারো হকাররা বসতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে দ্রæত প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
মডেল টাউন উত্তরার রাস্তাঘাট অনেক প্রশস্থ্য হলেও যানজট এখন উত্তরাবাসীর নতুন মাথাব্যাথার কারণ। ঢাকা-ময়মনসিংহ রাস্তায় বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলায় মূল রাস্তায় সব সময় যানজট লেগেই থাকে। আবার সেক্টরের বিভিন্ন রাস্তায় হকাররা ব্যবসা করায় ভিতরের রাস্তাতেও যানজট লেগে থাকে। ফলে উত্তরার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি প্রশাসনের উদ্যেগে হকারদের উচ্ছেদ হলেও পুলিশের অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আবারও ফুটপাতে দোকান পাট বসছে।
সরেজমিন দেখা যায়, উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকা থেকে শুরু করে ১১ নং সেক্টর এর এসবি অফিস এবং ১০ সেক্টর পুরাতন ব্রীজ এলাকা থেকে বেড়িবাধের কামার পাড়া ব্রীজ পর্যন্ত, উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার রাজলক্ষীর পিছনের রোড, তাকওয়া মসজিদের সামনের ২ নং রোডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাস্তা এবং ফুতপাত ধরে এখানে প্রায় ৩ শতাধিক স্থায়ী এবং অস্থায়ী হকার বসে। যাদের কারনে এ রোডটিতে প্রায়ই যানজট লেগে থাকছে। আজমপুর রাজউক কমপ্লেক্স-এর পেছনে, বিএনএস সেন্টার থেকে নর্থ টাওয়ার পর্যন্ত রাস্তায় দোকান বসেছে। এছাড়া জসিম উদ্দিন রোডে কিছু দোকান বসানো হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণ করছে যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের কিছু নেতা। যাদের হয়ে গোটা এলাকার চাদা আদায় করেন, রাছেল মন্ডল, উজ্জল, মোস্তফা, আনোয়ার, মোরসালিনসহ আরো কয়েকজন। স্থানীয় হকারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আনসার সদস্য সবুজ মিয়া, আনসার সোহেল রানা হকারদের কাছ থেকে টাকা তোলেন। এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা ওসি তদন্ত ইয়াসীন গাজী ইনকিলাবকে বলেন, আমরা হকার উচ্ছেদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। উচ্ছেদের পর আমাদের অগোচরে হয়তো কিছু হকার আবার রাস্তায় বসেছে। খোঁজ নিয়ে দ্রæত উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবো।
অপর দিকে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় আলাওল এভিনিউ থেকে ডিএমপি কোয়াটার, শাহজালাল এভিনিউ রোড এবং বিডিআর বাজারের সামনে পিছনের রোড, আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাধ থেকে রেল ক্রসিং পর্যন্ত। এছাড়া রাজধানীর বিমানবন্দর রেল ষ্টেশন ও এর আশে পাশের এলাকায় শ্রমিক লীগ নেতা কাশেম শেখ নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানা ওসি জহিরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, একবার হকার উচ্ছেদ করেছি। এরপর অনেক তদবির এসেছে কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত রাস্তায় হকার বসতে দেব না, বসতে দেইনি। নতুন করে কেউ যদি বসে থাকে দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।