পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন। এর আগে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে সোহওয়ার্দী উদ্যানে দুই দফায় অনুমতি চেয়েও তা মেলেনি। পরে এই দিনটিকে কেন্দ্র করে ৮ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনেও অনুমতি চেয়েও পায়নি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দী। পরে ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন এই সেনা কর্মকর্তা জিয়া। বিএনপি এই দিনকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমানের কর্মকা- তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত হয়েছেন। কারণ জিয়াউর রহমান থাকলে আপনাদের রাজনীতি থাকে না। আপনারা যে পরাধীতার রাজনীতি করেছেন, আপনারা যে শৃঙ্খলের রাজনীতি করেছেন, আপনারা শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে ভালোবাসেন- এই রাজনীতি থাকে না। তখন স্বাধীনতার রাজনীতি, আমাদের সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন-সার্বভৌমত্বে রাজনীতি, আমাদের মাথা উঁচু করবার রাজনীতি, আমাদের নিজস্ব স্বতন্ত্র পরিচয়ের রাজনীতি- এই রাজনীতি সামনে এগিয়ে আসে। তাই আপনারা জিয়াউর রহসমানকে সহ্য করতে পারেন না।
দেশে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন,আমরা আবারও বলছি, গণতান্ত্রিক স্বাভাবিক কর্মসূচি পালন করতে দিন। সাংবিধান লঙ্ঘন করবেন না। আমাদের ১৩ নভেম্বর সামাবেশ করার অনুমতি দিন। গণতন্ত্রকে তার নিজস্ব ধারায় চলতে দিন। ১৩ তারিখের কর্মসূচির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা পার্টি অফিসের চিত্র ইতিমধ্যে দেখেছেন। মনে হচ্ছে একটি যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। যেমন করা হয়েছিল-২০১৩, ১৪ এবং ২০১৫ সালে। ওই সময় দলীয় অফিসকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। আমাদের নেতা রুহুল কবির রিজভীকে বন্দি করা হয়েছিল। এখনও দেখে তাই মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক দল। সভা সমাবেশ করা আমাদের গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে- আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা আবারও দমন পীড়ন করে সেই পুরনো একদলীয় বাকশালী শাসন ফিরিয়ে আনতে চাইছে ভিন্নভাবে।
বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা বর্তমানে এই অনির্বাচিত এবং অগণতান্ত্রিক সংসদে নেই। স্বভাবতই জনমতকে সুসংগঠিত করতে আমরা সমাবেশ করার জন্য বারবার অনুমতি চাইবো। সরকারকে বলবো গণতন্ত্রকে সুস্থ্যধারায় চলতে দিন। তাহলে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট সমাধান হবে। এভাবে সভা সমাবেশে বাধা দিয়ে দেশের সঙ্কট নিরসন হবে না। তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই কেবল রাজনৈতিক সঙ্কটের নিরসন সম্ভব। এমতাবস্থায় সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। সমাবেশের অনুমতি না পেলে বিএনপি কি করবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অনমুতি চাইতেই থাকবো। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যদি অনুমতি না পাই তা হলে কর্মসূচির কথা পরে জানাবো।
সড়কে সমাবেশ নিষিদ্ধ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এমন নির্দেশনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সড়কে যদি সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো কোথায় যাবে? আসলে সরকার একদলীয় শাসন ফিরিয়ে আনতে চাইছে ভিন্ন মোড়কে সরকার এগুলো করছে। মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করলো। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আলোকসজ্জা করলো। আর অন্যদেরকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।, এটা তো হয় না সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকারের চরিত্রই হলো নিজেদের ক্ষমতাকে পোক্ত করতে অন্যেও ওপর দমন নিপীড়ন চালানো। ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার পর থেকে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আমাদের বেশকিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে ফ্যাসিবাদী বলে মন্তব্য করে মির্জা ফকরুল বলেন, এই সরকার মিথ্যা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তারা অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের নামেও তারা মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, মো: আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।