পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে অসন্তোষ জানিয়েছে রুশ দূতাবাস। দূতাবাস বলছে, এ ইস্যুতে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যম পশ্চিমা গণমাধ্যমের মতো পক্ষপাতদুষ্ট খবর প্রচার করছে। গতকাল রোববার (১৩ মার্চ) ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার ভি মানতিতস্কি স্বাক্ষরিত এক খোলা চিঠিতে রাশিয়া কেন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে তা তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা সংবাদ সংস্থা রুশবিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। লেখাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। যেগুলো প্রচণ্ড পক্ষপাতমূলক। পশ্চিমা গণমাধ্যমের দেখাদেখি বাংলাদেশেও নির্দিষ্ট কয়েকটি গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রচারণা চলছে।
চিঠিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান প্রসঙ্গে বলা হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে আমরা যুদ্ধে লিপ্ত নই। রাশিয়ার নিরাপত্তা হুমকির মুখে থাকায় আমরা এই অবস্থান নিয়েছি। কিয়েভে বসবাসরত রুশ ভাষাভাষীদের ওপর দীর্ঘ ৮ বছর ধরে গণহত্যা চালাচ্ছে ইউক্রেন। আমরা তা প্রতিহত করতে চাই। ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ করতে চাই এবং ইউক্রেনে ন্যাটোর সামরিক ঘাঁটি স্থাপন রুখতে চাই।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ন্যাটোর শীর্ষ সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ইউরোপের নিরাপত্তার বিষয়ে একটি সমঝোতায় আসতে ৩০ বছর ধরে চেষ্টা করছে রাশিয়া। এ ক্ষেত্রে মস্কো বারবার প্রতারণার শিকার হয়েছে। ক্রেমলিনের প্রতিবাদ ও উদ্বেগের পরও ন্যাটো ইউরোপে তাদের সম্প্রসারণ চালিয়ে গেছে। রাশিয়ার সীমান্তের কাছে চলে আসছে জোটটির সামরিক সরঞ্জাম। এসবের পরও ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আবার সমঝোতার চেষ্টা চালানো হয়। তবে তা বিফলে যায়।
রুশ দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়, ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার তৎপরতার মধ্যে ইউক্রেনে নৌঘাঁটি গড়ে তোলা হচ্ছিল। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের প্রক্রিয়াও চলছিল। এমন পদক্ষেপ রাশিয়ার জন্য সরাসরি হুমকির। এমনকি ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিধর দেশ হতেও তাগিদ দিয়েছে ন্যাটো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।