পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ ঘাঁটি বানৌজা ঈসা খানকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেছেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ এবং অপারেশনাল ও লজিস্টিক কাজে অনন্য সহায়তা প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বানৌজা ঈসা খানকে এই ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড প্রদান করা হয়।
ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় একটি আধুনিক নৌবাহিনী গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। এ জন্য স্বাধীনতার পরে শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহের ব্যবস্থা করেন এবং নৌবাহিনীর ঘাঁটিসমূহকে একযোগে কমিশন করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নৌবাহিনীকে আধুনিক, ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভূখ-ের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্রসীমা আমরা অর্জন করেছি।
বহির্বিশ্বের সাথে দেশের মোট বাণিজ্যের ৯০ ভাগেরও বেশি সমুদ্রপথেই পরিচালিত হয়ে থাকে এবং দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল। তাই সমুদ্র সীমানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর আমাদের নৌসদস্যরা বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে সার্বক্ষণিক এই সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ ঘাঁটি বানৌজা ঈসা খানের নামকরণ করা হয় ‘চট্টগ্রাম নৌঘাঁটি’। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালের ১০ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় বীর ঈসাখানের নামে এই ঘাঁটি পুনঃ কমিশন করেন এবং নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণে অসাধারণ ভূমিকা রাখার জন্য সে সময় বানৌজা ঈসা খানকে নেভাল এনসাইন প্রদান করেন। যাত্রা শুরুর পর থেকে এই ঘাঁটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ এবং অপারেশনাল ও লজিস্টিক কাজে অনন্য সহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
এর আগে সকালে প্রেসিডেন্ট বানৌজা ঈসা খান ঘাঁটিতে এসে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, সেনা ও বিমানবাহিনী প্রধান, নৌ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের সকল নৌ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ, মুক্তিযুদ্ধের নৌ কমান্ডোসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, দেশী-বিদেশী কূটনীতিকবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।