Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বান কি মুনের আত্মোপলব্ধি : আইএস নিধন ‘ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ’

প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার : জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন আইএস রুখতে মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘কঠোর পন্থা নেয়ার ফলে জঙ্গিবাদ বরং বেড়ে গেছে। ভুল নীতির ফলে আমরা নিষ্ঠুর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে হেরে চলেছি। এ ধরনের নীতি মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে শত্রুদের হাতই শুধু শক্তিশালী হচ্ছে।’ বাস্তবোচিত উপলব্ধি থেকেই তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি এই আহ্বান জানান। জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে যদিও এ ধরনের আহ্বান আরো অনেক আগে জানানো উচিত ছিল। দেরিতে হলেও বান কি মুনের এই বোধোদয় পশ্চিমা যেসব রাষ্ট্র সন্ত্রাস নির্মূলের ধোঁয়া তুলে বিশ্বের দেশের দেশের সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে; ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণা চালিয়ে হিংসাবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তাদের নতুন করে চিন্তার খোরাক যোগাবে। বান কি মুন বলেছেন, ‘অপরিকল্পিত নীতি, ব্যর্থ নেতৃত্ব, কঠোর পন্থা এবং বল প্রয়োগে জঙ্গিবাদ নির্মূলের চেষ্টায় উপেক্ষিত হয়েছে ‘মানবাধিকার’। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এসব পন্থা নেয়ার ফলে জঙ্গিবাদ বরং বেড়েই গেছে। আমাদের মাথা ঠা-া রাখতে হবে এবং সাধারণ জ্ঞান প্রয়োগ করতে হবে।’ প্রশ্ন হলো বিশ্বের দেশে দেশে কেন আইএসের প্রসার ঘটলো? বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আধুনিক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণী, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়াররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন আইএসে নাম লেখাচ্ছেন? আইএসে নাম লিখিয়ে যুদ্ধে প্রাণ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেন?
আইএস কেন সৃষ্টি হলো? আফগানিস্তানের কথা মনে আছে? ১৭৪৭ সালে আহমদ শাহ দুররানি কান্দাহার শহরকে রাজধানী করে দুররানি সাম্রাজ্যের পত্তন করেন। তখন থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে ছিল রাজতন্ত্র। মাঝে দেশের রাজধানী কান্দাহার থেকে কাবুলে স্থানান্তরিত হয় এবং দেশটি প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে অনেক অঞ্চল হারায়। ১৯শ’ শতকে দেশটি ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ও রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যেকার খেলার মধ্যবর্তী ক্রীড়ানক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৭৩ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে সামরিক অফিসারেরা রাজার পতন ঘটিয়ে প্রজাতন্ত্র গঠন করেন। মূলত ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ-আফগান যুদ্ধশেষে আফগানিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান আক্রমণ করলে শুরু হয় সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ। আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতায় আফগানদের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। অতপর সেখানে আবার শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ১৯৯৬ সালে তালেবান নামের একটি মুসলিম ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯৭ সালের ২৪ মে তারা কাবুলের দখল নেয়। ইসলামপন্থী সংগঠন তালেবান সরকার আল-কায়দা এবং তার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয়। ২০০১ সালের ১১ সেপেন্টম্বর আমেরিকার নিউইউয়্যূকে টুইন টাওয়ারে হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান আক্রমণ করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তালেবানদের উৎখাত করে। অতঃপর সন্ত্রাস দমনের নামে বছরের পর বছর চলে মার্কিন বাহিনীর তা-বলীলা। ২০০৪ সালে সংবিধান নতুন করে লেখা হয় এবং মার্কিনীদের পুতুল সরকার হিসেবে হামিদ কারজাই ক্ষমতায় বসেন। সন্ত্রাস দমনের নামে আফগানিস্তানে ইসলামবিদ্বেষী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী তা-ব থেমে থাকেনি। বছরের পর বছর ধরে ইসলামবিদ্বেষী মানসিকতা ও তেল সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সে তা-ব ফেরি করে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। মূলতঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইঙ্গ-মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতায় আরবভূমি দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল জনপদে রূপান্তরিত করা হয়। তেলসম্পদের উপর নির্ভরশীল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তেল সম্পদের ওপর মার্কিনীদের শকুনি দৃষ্টি পড়ে। সন্ত্রাস দমনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার বদলে ইসরাইলের স্বার্থ ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্যনীতি গ্রহণ করে। অস্ত্রের বাজার সৃষ্টি ও তেল সম্পদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থেকে মিথ্যা অজুহাতে ইরাকে ও আফগানিস্তানে সামরিক আগ্রাসন ও দখলবাজির মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীল করে তোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বুশ প্রশাসন। ইরাকের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যার পর ক্রমান্বয়ে লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, তিউনিশিয়া, ইয়েমেন, কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান পর্যন্ত তথাকথিত জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়া হয়। আল-কায়েদা, আরব বসস্ত, আইএস এবং শিয়া-সুন্নী বিরোধ সৃষ্টি করে তেলসমৃদ্ধ আরব দেশগুলোর শাসকদের প্রতি হুমকি সৃষ্টি এবং হাজার হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র-বাণিজ্যের ক্ষেত্র টিকিয়ে রাখা হয়। বাধ্য হয়েই ইরাকের স্বাধীনতাকামীরা আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার থেকে বিদেশী দখলদারিত্বের হাত থেকে মাতৃভূমি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আইএস গঠন করে। আফগানিস্তান দখলসহ আল-কায়েদার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে ন্যাটো বাহিনীর আগ্রাসনে লাখ লাখ আরব মুসলমান এবং হাজার হাজার পশ্চিমা সৈন্য নিহত হয়। কিন্তু এতো প্রাণহানি ও অর্থ ব্যয়ের পরও আল-কায়েদার নেটওয়ার্ক তারা ধ্বংস করতে পারেনি। ফলে মার্কিন অর্থনীতিতে ধস নামে। মধ্যপ্রাচ্যসহ সারাবিশ্বে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব আরো প্রবল হয়ে উঠে। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা যায় গত একদশকে যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ১৩ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ইরাকে, ২ লাখের বেশি আফগানিস্তানে। মার্কিন ড্রোন ও অন্যান্য আক্রমণে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে শুধু পাকিস্তানেই। এখনো যখন তখন ইরাক, সিরিয়া ও পাকিস্তানের ড্রোন হামলা হচ্ছে; প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সন্ত্রাস দমনের নামে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এই দেশগুলোর মানুষ নিজ ভূমে পরবাসী হয়ে দুর্বীসহ জীবন যাপন করছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের সন্ত্রাস দমনের নামে মানুষ হত্যার প্রতিরোধ হিসেবে ওই সব দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধকে জঙ্গিবাদ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। মার্কিনীরা একশ’ জন হত্যা করলে খবর হয় না অথচ আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের যোদ্ধারা একজনকে হত্যা করে আন্তর্জাতিক মিডিয়া বিবিসি, সিএনএনে শিরোনাম হয়। জঙ্গি দমনের নামে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ক্ষমতার পালাবদল এবং অস্থিতিশীলতায় সুবিধা পাচ্ছে সউদী আরব, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। মার্কিনীদের চোখে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন স্বৈরশাসন নন; তিনি তেলক্ষেত্র জাতীয়করণ এবং সামরিক শক্তি হিসেবে সউদী আরব ও ইসরায়েলের কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখতেন। লিবিয়ার মুয়াম্ময় গাদ্দাফি ও মিশরের হুসনি মুবারক ক্ষেত্রেও ছিল একই হিসেব। তারাও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ইসলামবিদ্বেষী নীতির থোরাইকেয়ার করতেন। ২০১১ সালে গাদ্দাফি সরকারকে উচ্ছেদ করার জন্য ছিল ন্যাটো বাহিনীর ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি। একই ঘটনা ঘটে হুসনি মুবারককে ক্ষমতাচ্যুতির ক্ষেত্রে। পশ্চিমাদের চোখে সিরিয়ার বাশার আল আসাদের স্বৈরশাসন নয়, অপরাধ সউদী আরব ও ইসরায়েলের অপছন্দের ব্যক্তি। এ জন্য বাশার সরকারকে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় পশ্চিমারা। মধ্যপ্রাচ্যের তেলখনি দখল, বিভিন্ন সরকারকে উৎখাত এবং সন্ত্রাস দমনের নামে যুদ্ধে সামরিক হামলার কথা কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক হোসাইন ওবামা স্বীকার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও কিছুদিন আগে এক বক্তৃতায় মুখ ফসকে আইএসের পেছনে পশ্চিমা দেশগুলোর শত হাজার কোটি ডলারসহ নানা পৃষ্ঠপোষকতার তথ্য প্রকাশ করলেও পরে মিত্রদের ক্ষোভের মুখে মাফ চেয়েছেন। কে না জানে গুয়েনতেমালা কারাগারের বন্দী নির্যাতনের চিত্র। ইরাক, আফগানিস্তানের বন্দীদের কিভাবে হত্যা করা হয়। মানবাধিকারের এজেন্সি নেয়া আমেরিকার সৈন্যরা জঙ্গি দমনের নামে ভয়ঙ্কর নির্যাতনের মাধ্যমে পদে পদে মানবাধিকার লংঘন করছে। যুদ্ধ শেষে ভয়ঙ্কর নির্যাতন করার কারণে কয়েকজন মার্কিন সৈন্যের বিচারও হয়েছে।
আইএস এখন ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশ্বে। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর এখন মূর্তমান আতঙ্ক। এ জন্য পশ্চিমারা জঙ্গি দমন আর আইএস নিধনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় করছে। এই দমন প্রক্রিয়ায় যে ভয়ঙ্কর জুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে তাতে করে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের সংগ্রামে তথাকথিত জঙ্গিরা আরো মরিয়া হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাস দমনের নামে মার্কিনীদের মধ্যপ্রাচ্যের তেলসহ সম্পদ লুণ্ঠন, ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণা আর ভয়ঙ্কর দমননীতির কারণে আইএসসহ জঙ্গি সংগঠনগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি বাড়ছে। মুসলিম সম্প্রদায় সংগঠিত হচ্ছে। ইসলাম নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। আরো শক্তিশালী হয়ে বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে সংগঠন আইএস। শুধু মুসলিম দেশ নয়; পশ্চিমা দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণ-যুবকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে আইএসে নাম লেখাচ্ছেন। এই ধারা অব্যহত থাকলে ভবিষ্যতে বিশ্ব রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যেতে পারে। যা বান কি মুন অনুধাবন করেছেন। কিছুদিন আগে এক টেলিভিশনের টকশোতে মুক্তচিন্তক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেছেন, আইএস বা জঙ্গি দমনের নামে যুদ্ধ ঘোষণা করে লাভ নেই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তেলখনিগুলোতে পশ্চিমাদের লুটপাট বন্ধ এবং ন্যাটো বাহিনীসহ পশ্চিমা বাহিনীগুলো মধ্যপাচ্য ত্যাগ না করলে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিরোধ হবেই। জঙ্গি বলুন, আর আইএস বলুন তারা প্রতিবাদ করবেই। দখলদার বাহিনী মধ্যপ্রাচ্য ছাড়লে তিন মাসের মধ্যে বিশ্বে কোনো জঙ্গি থাকবে না। যথার্থই বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে দেশগুলোর তেল লুণ্ঠন এবং পশ্চিমাদের জুলুম-নির্যাতন চলতে থাকলে তা প্রতিরোধের চেষ্টা হবেই। জঙ্গি দমনের নামে পাঁচ-দশ হাজার আইএস সদস্য এবং অন্যান্য জঙ্গি বাহিনীর সদস্যের বিচার ও হত্যা করলেও নতুন করে বাহিনীর সদস্য জন্ম নেবে। যা বান কি মুন উল্লেখ করে আইএস নিধনে প্রভাবশালী দেশগুলোর শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। তরুণ-তরুণীদের কাজ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আইএস এবং জঙ্গি নিয়ে পশ্চিমারা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না করলে আইএস এবং জঙ্গি নিধন হবে ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করার নামান্তর। একদিকে নিধন করা হবে অন্যদিকে গজিয়ে উঠবে। কাজেই জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের পাশাপাশি আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে থাকা পশ্চিমা দেশ ও শাসকদের আত্মোপলব্ধি জরুরী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বান কি মুনের আত্মোপলব্ধি : আইএস নিধন ‘ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ’
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ