পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
যদি বেশিরভাগ জরিপের আভাস সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আজকের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে যাবেন। তবে এরপরও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা আমেরিকার রাজনীতিতে সুস্পষ্ট ছাপ রেখে যাবে। ৭০ বছর বয়সী এই কোটিপতি রিপাবলিকান পতাকা বহন করছেন। যদিও পুরোনো এই ঐতিহ্যবাহী দলের একাংশ তাকে বর্জন করেছে। অন্যরা অনেকটা নাক চেপে ধরে তাকে ভোট দিতে যাচ্ছেন।
কিন্তু ট্রাম্প দলের প্রতিকূল অবস্থানের মধ্যেও তার নিজস্ব রাজনৈতিক নৈপুণ্য দিয়ে একটি আন্দোলন প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছেন। ট্রাম্প বা হাউস স্পিকার সর্বোচ্চ পদমর্যাদার নির্বাচিত রিপাবলিকান ব্যক্তি পল রায়ানের কথা ধরা যাক। দু’জনের মধ্যে তুলনামূলকভাবে কে ভালোভাবে দলীয় আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ৫১ শতাংশ পছন্দ করেছেন ট্রাম্পকে। রায়ানের পক্ষে মত দিয়েছেন ৩৩ শতাংশ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় ঘিরে যেভাবে রাজনৈতিক কলকাঠি নড়ছে এবং ডানপন্থীরা যেভাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাশা করছেন, এতে কিছু রিপাবলিকান নেতা আবার গর্তে ঢুকে পড়ছেন। কিন্তু ট্রাম্প তার উদ্ধত ভঙ্গি ও দলের প্রচলিত রক্ষণশীল ধ্যানধারণাকে ভেঙে মুক্ত বাণিজ্য, বৈদেশিক নীতি ও কল্যাণমূলক কাজে এবং দারিদ্র্যের ক্ষেত্রে উদারনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলে বিভক্তি এনেছেন। এই প্রথাবিরোধী নতুন ব্যক্তিটি পিতৃত্বকালীন ছুটি, সরকারের ক্ষুদ্র গর্হিত বিষয় নিয়েও প্রচার চালিয়েছেন।
এ বিষয়ে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক রবার্ট শ্যাপিরো বলেছেন, ‘রিপাবলিকান নেতারা ট্রাম্পকে ঘৃণা করেন। তারা তার (ট্রাম্পের) সমর্থকদের চান। কিন্তু তার (ট্রাম্পের) সমর্থকেরা ট্রাম্পের সঙ্গেই থাকতে চান।’ নির্বাচনের পরও এই প্রবণতা যেটাকে ট্রাম্প তার ‘আন্দোলন’ বলে থাকেন, তা চালু থাকবে বলে সতর্ক করেন রবার্ট শ্যাপিরো। তিনি বলেন, ‘তার (ট্রাম্প) সমর্থকেরা এখনো সেখানেই থেকে যাচ্ছেন এবং তারা বাণিজ্য, অভিবাসনসহ এ রকম অন্যান্য ইস্যুতে তাদের অবস্থান নিতে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে হিলারি ক্লিনটন এবং রিপাবলিকান পার্টির মূলধারার প্রতিও তাদের এক ধরনের ঘৃণা থেকে যাবে।’
তবে বিভিন্ন ইস্যুর পুরোভাগজুড়ে যা দেখা যাচ্ছে, শুধু সেগুলোই স্থায়ী হবে না। ট্রাম্পের বেপরোয়া ভঙ্গি ভবিষ্যতে নির্বাচনী প্রচারের কৌশলের ক্ষেত্রে ছাপ ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। আইওনা কলেজের অধ্যাপক জিনি জাইনো বলেন, ‘তিনি রাজনৈতিক প্রচারে পরিবর্তন এনেছেন। ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রার্থীকে তাকে (ট্রাম্প) অনুকরণ করতে দেখা যাবে, দলের বাইরে গিয়ে কাজ করা ও দলের প্রধানকে ছাড়িয়ে যেতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে দেখা যাবে অনেককে।’
নির্বাচনী প্রচারে এ ধরনের পরিবর্তন উদার ও রক্ষণশীলপন্থীদের মধ্যে বিভক্তি ছড়াতে পারে। যেমন- ডেমোক্র্যাট ও প্রগতিশীলরা অতিরিক্ত বাগাড়ম্বরের মাধ্যমে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
অধ্যাপক জাইনো বলেন, ‘বিষয়টি রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই দলেরই বিপুল জনপ্রিয়তাকে খর্ব করছে এবং এর প্রভাব দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আমাদের দেখতে হবে। এই দুই দলের জন্যই এই হতাশাজনক বাস্তবতা থেকে ফিরে আসা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’
ওয়াশিংটন ও ওয়াল স্ট্রিটের অভিজাত ব্যক্তিদের হতাশা ও শ্বেতাঙ্গদের উদ্বেগকে ট্রাম্প খুব কৌশলে কাজে লাগিয়েছেন। কিন্তু তিনি নারীদের অপমান করেছেন, আফ্রিকান-আমেরিকান, মুসলিম ও প্রতিবন্ধীদেরও অপমান করে আমেরিকায় বিভক্তিকে আরও গভীর করেছেন। ট্রাম্পের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রজার স্টোনের ভাষায়, এই বিষয়গুলোও ট্রাম্পের কট্টর সমর্থকদের জন্য এক ধরনের বিজয়। ভক্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রজার স্টোন বলেছেন, ‘রিপাবলিকান পার্টি দেশে জেব বুশের ক্লাব দল হিসেবে আর ফিরে যাচ্ছে না।’ মূলধারার রক্ষণশীলদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘এটা ওয়াশিংটনভিত্তিক পল রায়ান ও মিচ ম্যাককনেলের দল হিসেবেও ফিরে যাচ্ছে না। ট্রাম্পের আন্দোলন দলে কর্তৃত্ব করতে যাচ্ছে। দলে এটাই প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।’ সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।