পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসানীতি আরও শিথিল করল ব্রিটেন। এর আগে কখনোও ভারতের জন্য ভিসানীতি এত সহজ করেনি ব্রিটেন। এর ফলে ব্রিটেনে ব্যবসার কাজে আরও সহজে প্রবেশ করতে পারবেন ভারতীয় উদ্যোক্তারা। এ দেশে বিশাল বাজারের দিকে নজর রেখে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ ব্রিটেনের।
রোববার গভীর রাতে দিল্লিতে পা রাখেন টেরেসা মে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম বিদেশ সফর। টেরেসা-র সঙ্গে ৪০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি পৌঁছেছেন। তারা সে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগী। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের স্বার্থে এই ধরনের শিল্পদ্যোগীদেরই গুরুত্ব দিতে চাইছে ব্রিটেন। তবে ব্রেক্সিটের পরেই ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ব্রিটিশ ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। এই সময়ে ভারত থেকে ব্রিটেনে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। পড়াশোনা শেষ করার পরে ভারতীয় ছাত্ররা সে দেশে দু’বছর থাকার যে সুযোগ পেতেন, তা-ও এখন নেই। বার্ষিক উপার্জন ১৮ হাজার ৬শ’ পাউন্ডের কম হলে পরিজনদের ব্রিটেনে আনতে পারেন না কর্মরত ভারতীয়রা।
এই বিষয়গুলো নিয়েও গতকাল সকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে কথা বলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকের পর মোদী জানান যে ব্রিটেন ও ভারত এই প্রথম নিয়ে এল রেজিস্টার্ড ট্র্যাভেলার স্কিম। যার ফলে যে সব ভারতীয় নাগরিকদের ঘনঘন যুক্তরাজ্যে যাবার প্রয়োজন পড়ে এবং যারা দু’দেশের উন্নয়নে কোনও না কোনও ভাবে সহায়তা করছেন, তারা আরও সহজে ভিসা পাবেন। সামান্য কয়েকটা ফর্ম পূরণ করলেই মিলে যাবে ব্রিটেনে প্রবেশের অনুমতিপত্র। ইউরোপিয়ন ইকনমিক এরিয়া নামে এই পাসপোর্ট কনট্রোল থাকলে ব্রিটিশ বিমানবন্দরগুলোতে সহজে কাস্টমস চেকিং এড়াতে পারবেন ভারতীয়রা।
এর ফলে ব্রিটেন যে ভারতের জন্য ব্যবসার বাজার খুলে দিয়েছে, সেই বার্তাই দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেরেসা মে। যুক্তরাজ্যের ভিসা সার্ভিসের মধ্যে সেরাটাই এখন ভারতের দখলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেরেসা। ভারতই এখন একমাত্র দেশ, যার নাগরিকরা মাত্র একদিনেই ব্রিটেনের ভিসা পেতে পারেন। ভারত থেকে প্রচুর ব্যবসায়িক দক্ষতা ও ব্যবসা বুদ্ধি ব্রিটেনের বাজারে যায় বলে স্বীকার করেছেন তিনি। দু’দেশের এই সম্পর্ককে আরও উৎসাহ দিতেই ভিসানীতি শিথিল করা হল বলে জানিয়েছেন টেরেসা। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।