পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেছেন, এক সময় হিন্দুরা আমাদের ভোট দিতো না। তারা মনে করতো আলেমরা তাদের বিরুদ্ধে। অপপ্রচারও ছিল। কিন্তু যখন দেখলো জনপ্রতিনিধি হয়ে সকলকে সমান ভাবে দেখি; তখন তাদের ভুল ভেঙ্গে যায়। হিন্দুরাও এখন আমাদের ভোট দেয়।
সৈয়দ মো. রেজাউল করিম, পীর একটি ফার্সি শব্দ। আরবিতে বলে মুর্শেদ। বাংলাতে বলে পথপ্রদর্শক। এক কথায় আমরা পীরকে মুরুব্বী হিসেবেই বলতে পারি। নায়েবে রসুল হিসেবে দায়িত্ব পালন করাটাই হলো পীরের কাজ। আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসসালাম যা কিছু নিয়ে আসছেন হুবহু ঐটা বাস্তবায়ন, সেভাবে চলা এটাই হলো মূলত দায়িত্ব প্রতিটা নায়েবে রসুলের। তিনি বলেন, আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসসালাম শরীয়াত ইসলাম যেভাবে রেখে গেছেন, সেভাবে দায়িত্ব পালন করাটাই হলো নায়েবে রসুলের দায়িত্ব। আমরা হুবহু রসুলের নায়েব হিসেবে দায়িত্ব আমরা ওভাবেই পালন করার চেষ্টা করি। আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসসালামের চিত্রটা এবং তিনি সাহাবি একরামদেরকে নিয়ে যেভাবে আমাদেরকে ইসলাম, দ্বীন, মানবতা, সমাজ শিক্ষা দিয়েছেন আমরা ওভাবেই চলা এবং সেভাবেই কাজ করার চেষ্টা করি।
চরমোনাই পীর বলেন, আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসসালামকে আল্লাহ যে উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন, আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসসালাম যা কিছু নিয়ে আসছেন তার পুরোপুরি আঁকড়ে ধরার কথা আল্লাহ বলেছেন। এবং যেটা থেকে নিষেধ করেছেন তা থেকে ফিরে থাকা। এখানে আল্লাহর রসুল যেভাবে ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক, আন্তর্জাতিক, ব্যবসা ক্ষেত্রে কামাই খরচের ক্ষেত্রে-এককথায় যে নির্দেশনা যেভাবে দিয়ে গেছেন, হুবহু ঐটাই আমরা করার চেষ্টা করি। তিনি বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাড়ে ৮ বছর উপনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এমপি এবং জনগনের সামাজিক দায়িত্ব পালন করা-এটা ইসলামের বাইরের কোন অংশ না। এটা ইসলামের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসসালাম কিন্তু রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন, সমাজের নেতা ছিলেন, সাহাবা একরামরা এভাবে ছিলেন। হুবহু ঐ দায়িত্বটা পালন করার জন্যই আমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি।
আমরা প্রায় সাড়ে আট বছরের মতো ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করেছি। অভিজ্ঞতা আমার খুব ভালোই ছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমার জনগনের-সমাজের জন্য কাজ করতে সুবিধা হয়েছে।
সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, এই ইসলামী আন্দোলন এটা প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আমার আব্বা ফজলুল করিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি যখন দেখলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স প্রায় ৫০ বছর চলছে এবং এই দীর্ঘ সময়ে অনেকেই জনগনের কল্যাণের রাজনীতি করেনা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে ব্যক্তিকেন্দ্রীক কাজ করে-সেটা আমরা লক্ষ্য করেছি। বিধায় তিনি এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে গেছেন।
ইসলামতো শুধু মুসলমানদের জন্য-তাই নয়। বাস্তবতা হলো এই, আমি যখন চরমোনাই ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচন করছিলাম, তখন প্রথম পর্যায়ে অনেক হিন্দুরা আমাদেরকে তখন ভোট দেয়নি। না দেয়ার কারণ হিসেবে তারা বলছিলো আমি যদি চেয়ারম্যান হই তাহলে তাদের মন্দিরসহ তাদের পূজা কার্যক্রম বন্ধ করে দেবো। ওরকম একটা মিথ্যা রটানোর পরে অনেকেই তখন আমাদেরকে ভোট দেয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে আমাদের কার্যক্রম দেখার পরে এখন সিংহভাগ হিন্দুদের ভোট আমাদের পক্ষে দেয়ার পরিবেশ তারা তৈরি করেছে। তিনি আরো বলেন, ভোটগুলো থাকেনা আমরা তা বলবো না। বর্তমানে বাংলাদেশের যে নির্বাচনী ব্যবস্থা সেটাওতো প্রশ্নবিদ্ধ। তাতে ভোটের হিসাব-নিকাশতো কেউই করতে পারবে না। এটাতো কঠিন ব্যাপার। বাস্তবতা হলো যেখানেই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে আমাদের ভোটের পরিমান অনেক বেড়ে গেছে। অনেক জায়গায় আমাদের প্রার্থী জয়লাভও করেছে।
রেজাউল করিম বলেন, আমাদের নীতি আদর্শতো ইসলাম। বিএনপি-আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি বা অন্যান্য যে দলগুলো আছে, আমরা পরিস্কারভাবে বলেছি-নো বিএনপি-নো আওয়ামী লীগ-নো জাতীয় পার্টি। ইসলাম ইস দ্য বেষ্ট। যারাই এরসঙ্গে এক থাকবে, তাদের সঙ্গেই আমাদের আলোচনা হতে পারে।
নির্বাচনে বিএনপির কোনো পার্থীকে প্রচারণা করতে দেয় না অথচ হাতপাকা মার্কার প্রার্থীরা সারাদেশে নির্বিঘেœ প্রচারণা চালিয়েছেন। সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, আমরা নির্বাচনী প্রচারণায় চালিয়েছি। তেমন বাধার মুখে পড়িনি। এটা তো আমাদের নেতারা প্রচারণা করেছে। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়নি। (সংক্ষিপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।