Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হচ্ছে

প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

উমর ফারুক আলহাদী : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নানা ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে সরকার নিরাপত্তার স্বার্থে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ব্রিটিশ আমেরিকা অষ্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের এভিয়েশন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে সরকার তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বার বার বলার পর সিভিল এভিয়েশন নড়েচড়ে বসেছে। তবে প্রাথমিকভাবে বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে একটি বিশেষ সিকিউরিটি বাহিনী শাহজালাল বিমানবন্দরে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এভিয়েশন সিকিউরিটি নামের নতুন এ নিরাপত্তা বাহিনী বিমানবন্দরে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা সদস্যদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে গতকাল এ বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ১০০ জন সদস্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে এভিয়েশন নিরাপত্তার সাথে জড়িত একটি বিশেষজ্ঞ দল গত কয়েকদিন ধরে দুই দফায় ৪৮ জনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এছাড়া নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও বিমানবন্দরে স্থাপন করা হবে। সিভিল এভিয়েশনের একাধিক কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র মতে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে। এমন আশঙ্কা থেকেই নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এখন তা বাস্তবায়ন করছে মন্ত্রণালয়।
সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক এটিএস (এ্যারো) নুরুল ইসলাম গতকাল জানান, ১৭ জানুয়ারি রোববার থেকে ১০০ জনের নিরাপত্তা দলটি কাজে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু কী কারণে তারা যোগ দেননি তা জানা নেই। তিনি বলেন, তবে খুব দ্রুত এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স কাজ শুরু করবে। তিনি আরো জানান, বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা দেশের বাহিরে থাকায় এখন তাকেই এ দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিমানবন্দরসমূহ, বিশেষ করে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার তাগিদ দিয়েছে। এছাড়া গত অক্টোবরে মিসরের শারম আল শেখ বিমানবন্দর থেকে রাশিয়া যাওয়ার পথে সিনাই উপত্যকায় রাশিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দেশ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার তাগিদ দিয়েছে বলে ঢাকায় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ লক্ষ্যে অতিসম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এন্টি টেররিজম ব্যুরো-এর একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে বিমানবন্দর পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। এর আগে যুক্তরাজ্যও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের উদ্বেগ এবং সরকারের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, খুব শিগ্গিরই তারা ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে সক্ষম হবেন।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ ও রিপোর্টের আলোকে সরকার আগামী তিন মাসের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে ফ্লাইট সেফটি বিভাগকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে বিভিন্ন বাহিনীর চৌকস সদস্যদের নিয়ে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি অযোগ্য, অদক্ষ, আনফিটদের সরিয়ে দিয়ে সেখানে দক্ষ লোকদের নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হতে যাচ্ছে। দক্ষ কর্মী ও জনবল নিয়োগের পাশাপাশি উন্নত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ফ্লাইট ও যাত্রীদের নিরাপত্তার নির্বিঘœ করতে এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে গঠন করা হচ্ছে একটি বিশেষ নতুন এভিয়েশন নিরাপত্তা বাহিনী। এ নতুন বাহিনী তৈরি করার আগে তারা পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন বাহিনী থেকে লোকবল নিয়ে একটি নিরাপত্তা দল গঠন করা হচ্ছে।
বিমানমন্ত্রী বলেন, নতুন এ বাহিনীর নামকরণ হতে পারে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স। এজন্য জনবলের অনুমোদন চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে কিন্তু সেটি এখনো অনুমোদন হয়নি। এই বাহিনী গঠন না করা পর্যন্ত নিরাপত্তা বাড়নোর লক্ষ্যে ভিন্ন আরেকটি ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশ, আনসার এবং বিমান বাহিনী থেকে লোকবলের সমন্বয়ে ১০০ সদস্যের একটি দল গঠন করা হচ্ছে। আগামী কয়েক মাস এই দলটির কার্যক্রম মূল্যায়ন করা হবে। তার উপর ভিত্তি করে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের চিন্তা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, বিমানবন্দরের জন্য এ বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের আগে কর্মরত জনবলের সঙ্গে আরো আড়াইশ’ জনবল নিয়োগ করা হবে। তারা বিভিন্ন বাহিনী থেকে আসবেন। আপাতত ১০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাদের প্রশিক্ষণের পর যদি সন্তোষজনক মনে হয় তাহলে অন্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রথমে নিয়োগের জন্য যে ১০০ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৪০ জন যোগ দেবেন বিমানবাহিনী থেকে। এ ছাড়া পুলিশ থেকে ৪০ জন এবং আনসার থেকে যোগ দেবেন ২০ জন।
বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলছেন, বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে কোথায় নিরাপত্তার ঘাটতি আছে ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা সেটি বাংলাদেশকে জানিছে। এরপর জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত একটি বাহিনী এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স (এভসেক) গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যতদিন এ বাহিনী গঠন না হবে ততদিন বিভিন্ন বাহিনীর ২৫০ জন সদস্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সভায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে বিমানবন্দর পরিচালনা সংশ্লিষ্ট আরো ২০ দফা সিদ্ধান্ত হয়।
সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালকের অধীনে ২৫০ জন কর্মকর্তা কাজ করবেন। তাদের কমান্ডার হবেন গ্রেড চার মর্যাদার একজন কর্মকর্তা। এই কর্মকর্তার এয়ার মুভমেন্টের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ হতে হবে। ডেপুটি কমান্ডার থাকবেন তিন জন। তারা কমান্ডারকে প্রশাসন ও লজিস্টিক বিষয়ে সহায়তা করবেন। এই দলে অফিসার ইনচার্জ থাকবেন ৩০ জন। নিরাপত্তা কর্মকর্তা থাকবেন ৫৬ জন। তারা প্রতিটি নিরাপত্তা কর্মকা- তদারকি ও নিশ্চিত করবেন। দলে নিরাপত্তা সুপারভাইজার থাকবেন ৬৬ জন। তারা টেকনিক্যাল অপারেটরদের কাজ তদারকি করবেন। টেকনিক্যাল অপারেটর হিসেবে কাজ করবেন গ্রেড ১৫-এর নিরাপত্তা কর্মীরা। তারা বিভিন্ন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা যন্ত্রাদি পরিচালনা করবেন।
সিভিল এভিয়েশন অথরিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এ কারণে সরকার নিজে থেকেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। তার উপর সম্প্রতি যুক্তরাজ্য শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা সরাসরি সরকারকে বলেছে শাহজালালের নিরাপত্তা বাড়ানো না হলে তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-লন্ডন রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, সম্প্রতি ফ্রান্সে জঙ্গি হামলা হয়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা এ ধরনের হামলা যুক্তরাজ্যেও হতে পারে। যেসব দেশ থেকে উড়োজাহাজ সরাসরি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে অবতরণ করে সেখান থেকেও হামলা হতে পারে। এ ধরনের আশঙ্কা মাথায় রেখেই সম্প্রতি ব্রিটিশ ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্টেশনের কর্মকর্তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। এ সময়ও তারা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পরে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে বৈঠক করে নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলেছেন। ১০ জানুয়ারির মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে তারা যেকোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান। কিন্তু এর আগেই বাংলাদেশ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি মিসরে একটি রাশিয়ান বিমান বিধ্বস্থ হওয়ার পর পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিভিল এভিয়েশনের মান ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত না হলে বাংলাদেশের কোনো উড়োজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণ করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে কার্গো যায়। সেসব দেশও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বিশেষ বাহিনী এভসেক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই সাড়ে পাঁচ হাজার লোকের জনবল কাঠামো অনুমোদন করেছে। এভসেক গঠিত হলে বিশেষায়িত এ বাহিনী দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে বাংলাদেশ বিমান চলাচল সংক্রান্ত পেইচিং কনভেনশন ও প্রটোকল স্বাক্ষরের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে বেসামরিক বিমানকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা, বায়োলজিক্যাল, কেমিক্যাল, নিউক্লিয়ার অস্ত্র পরিবহন ও নিক্ষেপ বা পরিবহন করা, নেভিগেশন ফ্যাসিলিটিতে সাইবার আক্রমণ অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একইভাবে শাস্ত্রীয় বিধানও রয়েছে। এসব কারণে পেইচিং প্রটোকলে স্বাক্ষরের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে সিভিল এভিয়েশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার আছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অষ্ট্রেলিয়া আমাদের দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে যেসব প্রশ্ন তুলেছেন তা একটা অজুহাত মাত্র। কারণ তাদের দেশেও বিভিন্ন সময় হামলা হচ্ছে। তাদের দেশেও জঙ্গিদের তৎপরতা রয়েছে। শুধু যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাই ঝুঁকিপূর্ণ তা নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হচ্ছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ