পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রায়কে অভিনন্দন জানিয়েছে- অভিভাবক ঐক্য ফোরাম
স্টাফ রিপোর্টার : বিশেষ কমিটির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের (গভর্নিংবডি) সভাপতি হিসেবে সংসদ সদস্যরা (এমপি) দায়িত্বে ফিরতে পারছেন না। গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপক্ষেরসহ তিনটি আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতির পদ ফেরত পাচ্ছেন না এমপিরা। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এদিকে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের রায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। গতকাল ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম উদ্দিন যৌথ বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান। তারা বিবৃতিতে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে সারা দেশের অভিভাবকদের আশার প্রতিফলন ঘটেছে এবং স্কুল ও কলেজগুলো অনেকাংশ দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
আদেশের পর রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। এর মাধ্যমে এমপিরা আর বিশেষ কমিটির মাধ্যমে আর সভাপতি হতে পারবেন না। যিনিই সভাপতি হোন না কেন, তাকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির সুযোগ অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেল। তিনি আরও বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিশেষ ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল হয়ে গেল। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
এর আগে চলতি বছর ১ জুন হাইকোর্ট মনোনয়নের মাধ্যমে সভাপতি হওয়া সংক্রান্ত আইনের ধারা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ, ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাশেদ খান মেনন লিভ টু আপিল করেন। আপিল বিভাগ তিনটি আবেদনই খারিজ করে দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা ২০০৯-এর ৫ ধারা অনুযায়ী স্থানীয় সংসদ সদস্যরা ৪টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে থাকতে পারবেন। আর ৫০ ধারায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন না দিয়ে বিশেষ কমিটির মাধ্যমে গঠনের বিধান রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালার ৫ ও ৫০ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিট আবেদন দায়ের করেন ওই আইনজীবী। রিটের শুনানি শেষে সংসদ সদস্যদের থাকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গত ১ জুন হাইকোর্ট এমপিদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হওয়া সংক্রান্ত আইনের ধারা বাতিল অবৈধ ঘোষণা করেন। গতকাল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।