পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চরম ভোগান্তিতে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীরা
স্টাফ রিপোর্টার : ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বারবার বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা সহজীকরণের কথা বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। অন্যদিকে ভারত ভ্রমণের যখন অফ সিজন থাকে তখনই ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ভিসা মেলার মতো নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়া ৫/৬ হাজার টাকা খরচ করে বহু চেষ্টার পরও ই-টোকেন না পাওয়ায় প্রতিদিনই বিভিন্ন কারণে ভারতে যেতে আগ্রহী ট্যুরিস্ট ক্যাটাগরির আবেদনকারীদের নানা হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। যদিও হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে তাদের কোন ভিসা বা ই-টোকেন এজেন্ট নেই। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীদের প্রতিকারেরও কোন উপায় নেই।
সম্প্রতি ভারতীয় ভিসার ই-টোকেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী। বহু খোঁজ করেও নিজের চেষ্টায় কেউ ই-টোকেন পেয়েছেন এমন কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যারা কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ই-টোকেন দিয়ে থাকেন তারাও গত ১০/১২ দিন যাবত দ্বিগুণ অর্থাৎ ৬/৭ হাজার টাকার বিনিময়েও খুব একটা ই-টোকেন দিতে পারেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সীর কর্মকর্তারা জানান, গত ১০/১২ দিন যাবত ই-টোকেনের আকাল পড়েছে। বহু চেষ্টার পর ২/১টি ই-টোকেন মিললেও তা সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। যারা কয়েকগুণ বেশী টাকা দিতে পারছে তাদেরই মিলছে এই ই-টোকেন।
এ ব্যাপারে ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, গুলশান থেকে বারিধারায় তাদের অফিস স্থানান্তর চলছে। তবে এজন্য ই-টোকেন পেতে সমস্যা হবার কথা নয়। অন্যদিকে ভারতীয় হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, ৮-১০ নভেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনের ভিসাবিষয়ক সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ অনিচ্ছাকৃত সাময়িক সমস্যার জন্য তাদের পক্ষ থেকে ভিসাপ্রার্থীদের কাছে দুঃখও প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে চলতি বছরের জুনের প্রথম সপ্তাহে রমজানের সময় বারিধারায় ১১ দিনব্যাপী ভারতীয় ভিসা মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তখন বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে এ মেলার আয়োজন। তখন প্রতিদিন ট্যুরিস্ট ভিসার কয়েক হাজার আবেদনকারী আবেদন জমা দেয়।
খবর নিয়ে জানা গেছে, রমজানের সময় এমনিতেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণার্থীর সংখ্যা কমে যায়। এ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তাই এ অফ সিজনে ভিসা মেলার আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশন। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় এবং বিদেশী পর্যটক নারীদের উপর অহরহ ধর্ষণের ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হবার পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেশটিতে নারী পর্যটকের সংখ্যা অস্বাভাবিকহারে কমে যায়। ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশটির পর্যটন শিল্প। কমে যায় আয়। এ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নানা উপায় খোঁজে দেশটি। এরই প্রেক্ষিতে তারা ঢাকায় নারী পর্যটকদের জন্য ভিসা মেলার আয়োজন করে সম্প্রতি।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কেবল ট্যুরিস্ট ভিসা ছাড়া অন্য যেকোনো ক্যাটাগরির ভারতীয় ভিসার আবেদন অনলাইন এ্যাপেয়েন্টমেন্ট ডেট কিংবা ই-টোকেন ছাড়াই সরাসরি গ্রহণ করা হচ্ছে। এরপর সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশী একদল ভুক্তভোগীর প্রচারণা এবং গণ ই-মেইল কর্মসূচীর কারণে চলতি বছরের জুন মাসে মোবাইল ফোনে একবার ব্যবহারযোগ্য এসএমএসের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট ভিসাপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের একটি পদ্ধতি চালু করে ভারতীয় হাইকমিশন।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশ থেকে ভারতে সবচে বেশী যে শ্রেণীর ভিসার আবেদন করা হয় তা হলো ট্যুরিস্ট কোটায়। আর এ ক্যাটাগরীর ভিসা প্রার্থীদের অভিযোগ, অর্থ লেনদেন ছাড়া বাংলাদেশের কোন ভিসা প্রার্থীই ভারতীয় হাইকমিশনে সাক্ষাতের তারিখ নিতে পারেন না। আর হাইকমিশনও এ সমস্যা দূরীকরণে তেমন কোন উদ্যোগ নেয় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।