Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোনায়েম খানের বাড়ির উচ্ছেদে স্থিতাবস্থা

প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর মোনায়েম খানের বাড়িতে কেন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলো, তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী সাতদিনের মধ্যে লিখিতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাছে এ ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৭ দিনের জন্য সকল উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন মোনায়েম খানের ছেলে ও তাদের আইনজীবীরা। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মোনায়েম খানের ছেলে এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বনানীর এ-ব্লকের ১১০ নম্বরের পাঁচ বিঘা ১৫ ছটাক প্লটটি তৎকালীন ডিআইটি হতে ১৯৬৬ সালে বরাদ্দপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৬৭ সালে লিজ দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করা হয়। তবে ২০০৯ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন তাদের জায়গা দাবি করে একটি চিঠি দেন। সিটি করপোরেশনের দেয়া ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মোনায়েম খানের পরিবারের পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট সিটি করপোরেশনের ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেন। আদালতের ওই আদেশ বলবৎ থাকা অবস্থায়ই সিটি করপোরেশন উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন কামরুজ্জামান খান। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোনায়েম খানের নাতনি ও মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসিম খান। তিনি বলেন, আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ দিলেও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে সিটি করপোরেশন। এ পর্যন্ত ১৬ ফিট জায়গায় উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাড়িটির সীমানা দেওয়াল ও স্থাপনার একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোনায়েম খানের বাড়ির উচ্ছেদে স্থিতাবস্থা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ