পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভারতীয় সন্ত্রাসী আবদুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। গত রোববার বিকেলে তাকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে ছাড়া পেয়ে তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কোনো সংস্থাই কিছু বলছে না। তিনি কোথায় আছেন নাকি ভারতীয় দুতাবাসের কর্মকর্তাদের হাতে তোলে দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে স্পট করে কেউ কিছু বলছেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, তার সাজাভোগের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুশ ব্যাক-পুশ ইনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি (দাউদ) মুক্ত ব্যক্তি।
তবে গত ১৮ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘যে বিদেশিদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাঁদের কয়েকজন কারাগারে রয়েছেন। যাঁদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাঁদের ফেরত পাঠাতে আমরা সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলোতে যোগাযোগ করি। দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত দাউদ মার্চেন্টের ক্ষেত্রেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিনিময়ের কিছু নেই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আন্ডার ওয়ার্ল্ডের বস খ্যাত দাউদ ইব্রাহীমের সহযোগী আব্দুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে কীভাবে দেশে ফেরত পাঠানো যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় দূতাবাস। এখানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুই করার নেই। তিনি বলেন, ‘দুটি মামলায় সাজা ভোগ শেষে আদালতের নির্দেশেই দাউদ মার্চেন্টকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে যদি এই দেশে থাকতে চায়, তাহলে তাকে ভিসা নিয়ে থাকতে হবে। তা না হলে তাকে চলে যেতে হবে। তিনি কীভাবে চলে যাবেন, তা ভারতীয় দূতাবাস সিদ্ধান্ত নিবেন।’
কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দাউদ মার্চেন্টকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর তার অবস্থান কোথায়, সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। কারাগার থেকে দাউদ কীভাবে বেরিয়ে গেছেন, জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কারাগারের অফিস কক্ষ থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি কীভাবে গেছেন, সেটি জানা নেই। তার মতো শত শত আসামি আছেন, যারা ছাড়া পাচ্ছেন প্রতিদিন। কে কোন দিকে যান, তা দেখা সম্ভব নয়।
মুম্বাইয়ের সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট হত্যা করা হয়। ওই মামলায় সন্দেহভাজন ভাড়াটে খুনি দাউদ মার্চেন্ট গ্রেফতার হলে ২০০২ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দাউদ। ২০০৯ সালে ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে যান তিনি। ওই বছরের ২৮ মে ভারত সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ দাউদকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ। ঘটনায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে পাসপোর্ট আইনে মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দাউদ জামিনে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পরপরই তাকে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে দেওয়া ডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় দাউদ মার্চেন্টকে আটক করা হয়। তার সঙ্গে তখন পাসপোর্ট ছিল না। পুলিশের ধারণা, বাংলাদেশে কোনো অপরাধ সংঘটন করতে বা ভারতে বড় কোনো অপরাধ করে তিনি পালিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োাজন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ৩ নভেম্বর দাউদ মার্চেন্টকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকেও অব্যাহতি দেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।