Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাটের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে রফতানি আয় ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে: কৃষিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২২, ১০:৫১ পিএম | আপডেট : ১১:০৭ পিএম, ৬ মার্চ, ২০২২

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাট পণ্যের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। পাটের সম্ভাবনার সাথে শাকসবজি ও ফলমূল রফতানির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে, বছরে পাট ও কৃষিপণ্যের রফতানি আয় শীঘ্রই ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান।

অনুষ্ঠানে পাট উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রতিনিধিরা পাট ও পাটশিল্পের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১১জনকে জাতীয় পাট পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি ও জোট সরকারের আমলে দেশের পাটশিল্প ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে পাটের হারানো সুদিন প্রায় ফিরিয়ে এনেছে।

তিনি বলেন, গত ২০০৫-’৬ সালে পাটের উৎপাদন ছিল মাত্র ১০ লাখ টন। বর্তমানে পাটের উৎপাদন প্রায় ১৭ লক্ষ টন, যা ১২ বছরে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পাটবীজের জন্য আমরা কোন দেশের উপর নির্ভরশীল না থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। সেজন্য কৃষি মন্ত্রণালয় রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। ভারতে তাদের অনুর্বর জমিতে পাটবীজ চাষ করে কম দামে আমাদের দেশে রফতানি করে থাকে। আমাদের কৃষকেরা অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাটবীজ চাষে খুব বেশি আগ্রহী নয়। তিনি বলেন, তবে ইতোমধ্যে আমাদের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পাটের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, যা ভারতের জাতের চেয়ে অনেক ভালো। কৃষকদের মাঝে এটির চাষ জনপ্রিয় করতে কাজ চলছে।

তিনি আরো বলেন, “আমরা আশা করছি, আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। ৩ বছর পর ভারত থেকে পাটবীজ আর আমদানি করতে হবে না।”

পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেন, পাট বাঙালির ইতিহাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে, যা জাতি সত্ত্বার পরিচয়বাহী সংস্কৃতির অন্যতম উপকরণ। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস।

তিনি বলেন, সরকারের কর্মপরিকল্পনায় পাটখাত রফতানি বাণিজ্যে চামড়া খাতকে ছাড়িয়ে দেশের ২য় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে।

২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ মার্চ জাতীয়ভাবে পাট দিবস ঘোষণা করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

এর আগে সকালে জাতীয় পাট দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় পাটমন্ত্রী, পাট সচিব, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান, পাটখাতের অংশীজনদের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ