ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
আফতাব চৌধুরী
শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নতুন ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন এসেছে আরঅ্যান্ডডি (জ্উ), নলেজ বেজড সোসাইটি ইত্যাদি ধারণাগুলো। সৃষ্টিশীল ধারণাগুলো উন্নত বিশ্বকে দিচ্ছে শ্রেষ্ঠত্ব আর শিক্ষার ক্ষেত্রে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির ভূমিকা ব্যাপক । শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে আবার টেলিযোগাযোগের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। শিক্ষা বিস্তার, শিক্ষাদান সহজীকরণ, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগের ভূমিকা অপরিসীম। এখন আমরা দেখার চেষ্টা করব কিভাবে শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমে টেলিকমিউনিকেশন সাহায্য করতে পারে।
শিক্ষা হলো প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অথবা অপ্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিতে সামাজিক অবয়বে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আহরণ প্রক্রিয়া। যদিও সাধারণত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অর্জন পদ্ধতিতে শিক্ষা বুঝায় তবু অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। আর এ থেকে অব্যাহত শিক্ষা ধারণাটি উদ্ভূত।
টেলিকমিউনিকেশনের তাত্ত্বিক ধারণা প্রদান করেন ব্রিটিশ পদার্থবিদ জেমন ক্লার্ক ম্যাকওয়েল ১৯৬৫ সালে। তার মতে ইলেক্ট্রন যখন চলে তখন তারা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ সৃষ্টি করে। সেটি শূন্যে হতে পারে অথবা কোন মাধ্যমে চলাচলের সময় হতে পারে। এ তরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে যতবার উপর নিচ করে সে সংখ্যাকে ফ্রিকোয়েন্সি বলা হয়। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ পরিমাণ মতো তৈরি করে ব্রডকাস্ট করা যায়। এ অর্থে টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, টেলেক্স, ফ্যাক্স, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন, ওয়ারলেস টেকনোলজি ইত্যাদি টেলিযোগাযোগের অন্তর্ভুক্ত।
তথ্য প্রবাহের একটি মাধ্যম হিসেবে টেলিযোগাযোগ শিক্ষা প্রদানের বিষয়বস্তু তথ্যাদি বিভিন্ন দূরবর্তী স্থানে উপস্থাপন করতে সহায়তা করে। সুতরাং শিক্ষা প্রদানের গতানুগতিক প্রক্রিয়াকে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে ত্বরান্বিত করা যায়। টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে, বয়স্করা বাড়িতে ও কর্মজীবীরা তাদের কর্মস্থল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। শিক্ষা লাভের জন্য তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয় না।
এখানে আরেকটি ব্যাপারের কথা উল্লেখ করতে হয়, সেটি হলো স্ব-শিক্ষা। বস্তুত মানুষকে জীবনভর জ্ঞান আহরণ করতে হয় আর গতানুগতিক পদ্ধতিতে জীবনভর শিক্ষা অর্জন অসম্ভব। কারণ জীবনভর সকলের পক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষা গ্রহণ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ কাজটি অনেকটা সম্ভব করে দিয়েছে। বর্তমানে উন্নত বিশ্ব ব্যাপক পরিসরে ও উন্নতশীল বিশ্বের কিছু দেশ সীমিত পরিসরে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে তাদের জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করার কার্যক্রম চালু করেছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে যে কেউ সারাজীবন শিক্ষা লাভ করতে পারে।
অব্যাহত শিক্ষা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য টেলিযোগাযোগ নির্ভর পদ্ধতি বেশি উপযোগী। এ পদ্ধতির মাধ্যমে পেশাজীবীদের অনেক সহজে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সর্বশেষ জ্ঞান সম্পর্কে অবহিত রাখা যায়। উল্লেখ্য, বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কর্মস্থলে ফিরে যাবার পর কর্মরতদের সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ জ্ঞান সম্পর্কে অবহিত থাকার সুযোগ খুব সীমিত। কারণ কর্মপ্রতিষ্ঠানে অব্যাহত প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম প্রায় অনুপস্থিত। বিশেষত উন্নয়নশীল দেশে তা নেই বললেই চলে । তবে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে এ সুযোগ সৃষ্টি ও বিস্তৃত করা সম্ভব। কেননা টেলিযোগাযোগ দ্বারা কোন শিক্ষা কেন্দ্র থেকে দূরবর্তী কর্মপ্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাদের শিক্ষা প্রদান করা যায়। কোন কর্মী যদি স্ব-উদ্যোগে শিক্ষা গ্রহণ করে বা শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহী হয় তাহলে সে কর্মস্থলে অবস্থান করতে পারে।
আজকের দিনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে কোনো ছাত্র কোনো কারণে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে ইন্টারনেটে সে লেকচারটি পাচ্ছে, আবার আগামীদিনের লেকচারগুলো দেখে নিতে পারছে ওয়েবসাইটে। শিক্ষা কেন্দ্র থেকে দূরবর্তী কোন স্থানের শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদানের জন্য অডিও কনফারেন্সিং পদ্ধতি খুব সুবিধাজনক। উল্লেখ্য, দ্বিমুখী বেতার যোগাযোগ পদ্ধতির একাধিক চ্যানেল থাকে। বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময় অন্তর একই চ্যানেলের মাধ্যমে এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। যদিও এ পদ্ধতিতে গোপনীয়তা রক্ষা যায় না তবুও বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় কর্মরতরা এ পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠদান শুনতে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে তথা চূড়ান্ত পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। একটি মাত্র অডিও চ্যানেল দ্বারা স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অডিও চ্যানেলটি শেয়ার করে থাকে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স পদ্ধতিও চলে এসেছে।
দূরশিক্ষণের জন্য টেলিযোগাযোগের যথার্থতা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দূরশিক্ষণের গতানুগতিক মাধ্যমে যেমন বই, কাগজ, পত্রালাপ অডিও-ভিডিও ক্যাসেট এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর দূরশিক্ষণের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়া যায়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর অবস্থান কোনো সমস্যা নয়। বর্তমানে টেলিকনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেয়া যায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীরা অনিয়মিত সভার পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করতে পারছে। বস্তুত টেলিযোগাযোগের ব্যবহার দ্বারা দূরান্তের দূরশিক্ষণের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিরতি কমানো সম্ভব। স্যাটেলাইটভিত্তিক অডিও কনফারেন্সি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্প্রসারণ সেবা কর্মসূচি, পাঠদান, দূরশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের টিউটোরিয়াল, কার্যক্রম পরিচালনা সহজ। তাছাড়া উন্নয়ন সংস্থা প্রদত্ত পরামর্শ সেবা, প্রশিক্ষণ ও সেমিনার কার্যক্ষম এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিস্তৃত করা যায়। এ নেটওয়ার্ক ব্যবহারের খরচের বিকল্প পদ্ধতির প্রয়োজনীয় ভ্রমণ খরচ ও সময়ের অন্তত দশগুণ কম। স্যাটেলাইট পদ্ধতি নির্ভর দূরশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিরতির হার নগণ্য। টেলিযোগাযোগ বর্তমানে কমিউনিটি উন্নয়নে ইহা একটি ফলপ্রসূ প্রক্রিয়া।
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীরা টেলিফোনে শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা করতে পারেন। টেলিফোন ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থীর কোনো খরচ লাগে না। টেকসাসভিত্তিক একটি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারা দেশে বিশেষত দূর-দূরান্তে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা হয়। এ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত নয় এমন পাঠ্যক্রমেও শিক্ষা দিতে পারে। কেননা স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক থেকে তারা তাদের পাঠ্যক্রম বহির্ভূত নতুন কোর্স পায়। ন্যাশনাল টেকনোজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কর্মরতদের কর্মস্থলে রেখে স্নাতক পর্যায়ের প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রদান করছে। এ শিক্ষা ব্যয় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে বিধায় কর্মকর্তারা সহজে তাদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে পারছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাসস্থানেও অব্যাহত শিক্ষা প্রদান শুরু হয়েছে। টেলিভিশনের শিক্ষা চ্যানেল তার একটি উদাহরণ। চ্যানেলটি ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন জনবসতিতে শিক্ষা সুযোগ বিস্তার করছে। স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে চ্যানেলটি দ্বারা বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচি সরাদেশে কার্যকর করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথমে শিক্ষা কর্মসূচি স্থানীয় ক্যাবল টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। স্থানীয় ক্যাবল টেলিভিশনের দ্বারা তা পরবর্তীতে সকলের কাছে উপস্থাপন করা হয়।
পেরুতে সাতটি গ্রামীণ এলাকা স্যাটেলাইট ও উচ্চ কম্পাঙ্কের বেতার নেটওয়ার্কের সাহায্যে জাতীয় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও কৃষি সংক্রান্ত আলোচনা অডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জনগণের কাছে প্রচার করা হয়।
আলাসকায় স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের সহকর্মীদের একটি চিকিৎসকদের কথোপকথন একটি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শুনতে পারে, যা তাদের কাজের জন্য সুবিধা হয়। এছাড়াও খবধৎহ অষধংশধ ঘবঃড়িৎশ-এর মাধ্যমে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যক্রম পাঠানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তা ভিডিও ক্যাসেটে ধারণ করে শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর জন্য ব্যবহার করেন। চীনে টেলিভিশন বিশ্ববিদ্যালয় স্যাটেলাইট ও মাইক্রোওয়েব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রায় দশ লাখ কর্মরত শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান করছে। শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয় না, কর্মক্ষেত্রে তারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন প্রভৃতি স্ক্যাটন্ডেনেশিয়ান দেশ তাদের গ্রামীণ জনগণকে শিক্ষিত ও গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য টেলিযোগাযোগ সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছে। এর নাম ‘টেলিকুটির’। টেলিকুটির এ কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ সুবিধা রয়েছে। টেলিকুটিরে বিদ্যালয়, গ্রন্থাগার, স্থানীয় সরকার দপ্তর এবং কফির দোকান স্থাপন করা হয়েছে। এখানে অফিস কক্ষ, শ্রেণিকক্ষ, সভাকক্ষ, রান্নাঘর ও কাজ করার বিভিন্ন সরঞ্জাম আছে। টেলিকুটিরে কম্পিউটার, প্রিন্টার, টেলিফোন, ফ্যাক্স ও ভিডিও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডেস্কটপ পাবলিশিং, ছোটখাটো ব্যবসার হিসেব রক্ষণ ইত্যাদি করা যায়। টেলিকুটির আধুনিক প্রযুক্তি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ ধরনের কাজে কম্পিউটার ডিস্ক, ভিডিও টেপ, টেলিকনফারেন্সিং ব্যবহার করা হয়।
স্থানীয় জনগণ টেলিকুটিরের সাহায্যে অযাচিত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে। যেমন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তথ্যের অভাবে, প্রশিক্ষণের অভাবে, কেন্দ্রীয় বাজার থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থানের ফলে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে। এক্ষেত্রে টেলিকুটির প্রদত্ত টেলিযোগাযোগ সুবিধা ও তথ্য আহরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে লাভবান হতে পারবে ব্যবসায়ী। তাছাড়া টেলিকুটির কম্পিউটার বিষয়ক পরামর্শক ও প্রশিক্ষক এবং উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে।
লেখক : বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।