পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নারীদের ব্যবসায় অংশগ্রহণ ও আর্থিক সুযোগের তালিকায় বাংলাদেশ স্থান পেয়েছে নিচের সারিতে। বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে ১৭৪তম স্থানে। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘উইমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের প্রায় ২৪০ কোটি কর্মক্ষম নারী আর্থিক সুযোগের সমতায় পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে আছেন। এর মধ্যে ১৭৮টি দেশে নারীদের আর্থিক কর্মকান্ডে পুরোপুরি অংশগ্রহণে আইনি বাধা আছে।
বিশ্বের ১৯০টি দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে এ তালিকা প্রণয়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। চলাচলের স্বাধীনতা, কর্মক্ষেত্র, বেতন, বিবাহ, অভিভাবকত্ব, উদ্যোক্তা, সম্পদ ও পেনশন এই আটটি সূচকের ওপর ৩৫টি প্রশ্নের ভিত্তিতে এই স্কোর নির্ণয় করা হয়েছে। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৪তম, স্কোর ১০০-র মধ্যে অর্ধেকের কম। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর ৪৯ দশমিক ৪। গত বছরও বাংলাদেশের স্কোর একই ছিল।
বাংলাদেশের স্কোরের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীদের স্বাধীনতা আসেনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৫। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন, নারীশিক্ষা, শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণে অনেক এগিয়ে গেলেও লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করতে যেসব সংস্কার প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।
দক্ষিণ এশিয়ার বিচারে খারাপ অবস্থাানের দিক থেকে বাংলাদেশের স্থান দ্বিতীয়। ৩৮ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থাানে আছে একমাত্র আফগানিস্তান। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের গড় স্কোর রেকর্ড করা হয়েছে ৬৩ দশমিক ৭। এই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থাানে আছে নেপাল, তাদের স্কোর ৮০ দশমিক ৬।
তবে নারীদের চলাচলের স্বাধীনতা সূচকে শতভাগ স্কোর করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৭৫।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।