পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমণের মতো বিপত্তির মধ্যেও চা উৎপাদনে রেকর্ড করেছে দেশ। গেল বছর ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। দেশের চা শিল্পের ১৬৮ বছরে এটাই সর্বোচ্চ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড। বাংলাদেশ চা বোর্ডের হিসেবে ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগান এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগ থেকে ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে ১ কোটি ১ লাখ কেজি বেশি। আর এসব চায়ের প্রায় ৭০ ভাগ উৎপাদন হয় মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানে। সঠিক নেতৃত্ব ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমতলের চা-বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে গেল বছর ৪১ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছে। এ কথা জানিয়ে চা বাগান সংশ্লিষ্টরা নিম্নমানের চা আমদানি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
শ্রীমঙ্গলের জেরিন চা বাগানের উপ-মহাব্যবস্থাপক সেলিম রেজা চৌধুরী বলেন, যে চা আমদানি করা হয় তা অনেক নিম্নমানের। যা আমাদের চায়েরও কোয়ালিটি খারাপ করে দেয়। সরকারের প্রতি অনুরোধ আমদানি কমাতে আমদানি ট্যাক্সটা যেন বাড়ানো হয়। উৎপাদন বাড়াতে চা বাগানগুলোতে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের চা চাষিদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক বলেন, বাংলাদেশ চা বোর্ডের নজদারির কারণে ও আবহাওয়া অনুকূলে ছিলো তাই এই উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এ উৎপাদন বাড়ার পেছনে কাজ করছেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর একদল বিজ্ঞানী। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী জানান, আমরা বিজ্ঞানীরা প্রতিটি বাগানে উপদেশমূলক ভ্রমণ করেছি। আমরা বিভিন্ন ওয়ার্কশপ করিয়েছি। পোকামাকড় দমন ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে আমাদের তৎপরতা ছিলো প্রচুর। উৎপাদন ভালো হয়েছে বলে আমি মনে করি। সবশেষ ২০১৯ সালে রেকর্ড ৯ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়। পরের বছর তা নেমে আসে ৮ কেটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার কেজিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।