পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হঠাৎ কিছুটা এগোলেও আবার ভাটার টানে ট্রাম্প
ইনকিলাব ডেস্ক : ই-মেইল ধাক্কা সামলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন আবারো শক্ত অবস্থানে ফিরেছেন। সর্বশেষ প্রকাশিত ১০টি জরিপে জনপ্রিয়তায় তার এগিয়ে যাওয়ার সুখবর মিলেছে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জনমত জরিপে হঠাৎ কিছুটা এগিয়ে নিতে পারলেও এখন তাতে ভাটার টান পড়েছে। ভোটের মাত্র দুই দিন আগে জাতীয় জরিপে অগ্রগামিতার পাশাপাশি দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতেও অবস্থান ফিরে পেয়েছেন হিলারি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুরোদমে প্রচারে নামার শুরু থেকেই জাতীয়, আঞ্চলিক, জাতিগত, শিক্ষিত, নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত সব শ্রেণি-পেশার ভোটারের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ছিলেন হিলারি।
হিলারির যখন জয়জয়কার- ভোটের মাত্র ১০ দিন আগে ট্রাম্পের পক্ষে যেন ট্রাম্পকার্ড ছুড়ে দিলেন মার্কিন ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইর প্রধান জেমস কোমি। তার নতুন করে ই-মেইল তদন্তের ঘোষণায় হিলারির প্রতি সন্দেহ জাগে ভোটারদের। জনসমর্থনে অনেক এগিয়ে থাকা হিলারির সঙ্গে ব্যবধান কমতে থাকে অজনপ্রিয় ট্রাম্পের। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপে জানানো হয়, জনসমর্থনে হিলারিকে এক পয়েন্টে ছাড়িয়ে গেছেন ট্রাম্প। ভোটের মাত্র তিনদিন আগে এসে অর্থাৎ গত শুক্রবার সেই ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের যৌথ জরিপে দেখা যায়, ফের ৪ পয়েন্টে এগিয়ে গেছেন হিলারি।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজ জরিপ
৩০ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪১৯ ভোটারের মধ্যে ফোনে চালানো তাদের এ জরিপ অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আগাম ভোট দিয়েছেন প্রতি ১০ জনে তিনজন। তাদের মধ্যে ৪৭ ভাগ ভোটার হিলারিকে সমর্থন করছেন। ট্রাম্পের পক্ষে রয়েছে ৪৩ শতাংশ জনমত।
নিউইয়র্ক টাইমস ও সিবিএস নিউজ
হোয়াইট হাউসে কে যাচ্ছেন- এমন এক জরিপে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেয়া হয়, ডেমোক্রেটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটনের জয়ের সম্ভাবনা এখনও ৮৫ ভাগ। নিউইয়র্ক টাইমস ও সিবিএস নিউজের যৌথ জরিপে জানানো হয়, হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে হিলারির সমর্থন ৪২, অন্যদিকে ট্রাম্পের সমর্থন ৩৯ শতাংশ। তবে সুইংস্টেটখ্যাত রাজ্যগুলোতে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এবিসির সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, অ্যারিজোনায় ট্রাম্প ৪৯, হিলারি ৪৪ শতাংশ। ফ্লোরিডাতে হিলারি ৪৯, ট্রাম্প ৪৭ শতাংশ। জর্জিয়াতে ট্রাম্প ৪৫, হিলারি ৪৪ শতাংশ। নিউ হ্যাম্পশায়ারে হিলারি ৪৪, ট্রাম্প ৪৪ শতাংশ। নর্থ ক্যারোলাইনাতে হিলারি ৪৭, ট্রাম্প ৪৪ শতাংশ। অন্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে নেভাদায় ট্রাম্প ৪৯ শতাংশ, হিলারি ৪৩ শতাংশ। পেনসিলভানিয়াতে হিলারি ৪৮, ট্রাম্প ৪৩। আইওয়াতে ট্রাম্প ৪৪, হিলারি ৪৪ শতাংশ। ওহাইওতে ট্রাম্প ৪৬, হিলারি ৪১ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং মিশিগান অঙ্গরাজ্যে হিলারি আগের অবস্থান হারিয়েছেন এবং ট্রাম্পের সঙ্গে তার লড়াই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠছে।
রয়টার্স ও ইপসোস জরিপ
রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের চেয়ে ৫ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন হিলারি। এই মতামত জরিপে বলা হয়, ৪৪ শতাংশ সম্ভাব্য ভোটার হিলারির পক্ষে এবং ৩৯ শতাংশ ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।
ফক্স নিউজ
গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে জাতীয়ভাবে জরিপ চালায় ফক্স নিউজ। তাদের চার প্রার্থীর জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি। হিলারির সমর্থন ৪৫ শতাংশ, ট্রাম্পের ৪৩। এ ছাড়া গ্যারি জনসন ৫ শতাংশ ও জিল স্টেইন ২ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। তবে দুই প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৪৬ শতাংশ সমর্থন পেয়ে মাত্র ১ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি।
অন্যান্য জরিপ
নির্বাচনী জরিপ সংস্থা ফাইভ-থার্টি-এইট জানায়, হিলারির জয়ের সম্ভাবনা ৬৪ শতাংশ। তবে হাফিংটন পোস্টের জরিপে এখনো হিলারির জয়ের সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশ। এ ছাড়া প্রিন্সটন ইলেকশন কনসোর্টিয়াম (পিইসি), প্রেডিক্ট ওয়াইজ (পিডব্লিউ), কুক পলিটিক্যাল রিপোর্ট ইত্যাদি সংস্থার জরিপেও হিলারি ক্লিনটনের জয়ের সম্ভাবনার খবর দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার পারদের মাত্রার মতো ওঠানামা করছে আমেরিকার নির্বাচনের জরিপের ফলাফল। নির্বাচনের মাত্র তিনদিন আগে এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি নিকট-অতীতে দেখা যায়নি। সপ্তাহজুড়ে হিলারির অগ্রগামিতা ৪ থেকে ৭ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত ওঠানামা করেছে। এটি অনেকটা ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ের মতো অবস্থা। ওই সময়ে নির্বাচনের আগের চূড়ান্ত দিনগুলোতে রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে দেখা গিয়েছিল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপাবলিকান মিট রমনির চেয়ে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী বারাক ওবামা ৩ থেকে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। ওই সময় রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকস্ দেখিয়েছিল, নির্বাচনের আগে ওবামার অগ্রগামিতা প্রায় নিঃশেষের পথে। কিন্তু এর পরও জনপ্রিয় ভোটে ৪ শতাংশ অগ্রগামিতা নিয়ে ওবামা পুনর্নির্বাচিত হন। এবারও ভোটের হাওয়া প্রায় সে রকম। তাতে হিলারির জয়ের সুখবর মিলতেই পারে। ফক্স নিউজ, রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।