পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ৩১ মে থেকে সয়াবিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থেকে পাম অয়েল খোলা বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসব তেল বোতলে বিক্রি করতে হবে বলে জানান তিনি। গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। তিনি বলেন, আমদানিকারক কোম্পানিগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদি কেউ অসাধু উপায়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের মজুত যথেষ্ট পরিমাণে আছে। সব আমাদের হাতে আছে, কোনোটার সমস্যা নেই। হঠাৎ করে টিসিবি সিদ্ধান্ত নেয় এক কোটি মানুষকে পণ্য দেবে, সে ব্যবস্থাও তারা করেছে।
পণ্যের দাম বিষয়ে ব্যবসায়ীরা আইন মানেন না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা আরও অ্যাকটিভ হবো। ভোক্তা অধিকারকে বলব শিল্প-মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব সেটা যেন তাদের জানানো হয়। আমরাও আমাদের ব্যবস্থা নেবো। তিনি বলেন, সরকারের চেয়ে বড় হাত কারও নয়। আমরা বসতে চাই, সুবিধা দিতে চাই। কিন্তু তাই বলে এমন না তারা (ব্যবসায়ীরা) সুযোগ নেবেন। কিছুদিন আগে ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে। আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি- নট পসিবল (সম্ভব নয়)। আমরা দেখতে চাই এবং কোথাও সুযোগ নিতে দেবো না। আপনাদের (গণমাধ্যম) একটু সহযোগিতা চাই। আমাদের প্রশ্ন করেই শেষ করবেন না, আপনারা বাজারেও ঢুকে পড়েন। আপনারা কথা বলেন, টিভিতে স্ক্রল, পেপারে লেখেন। নির্দিষ্ট করে বলেন- ‘এটার বেশি দাম দেবেন না, সচেতন হোন’।
টিপু মুনশি বলেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট একবার বলেছিলেন, বাজারে সিন্ডিকেট-সিন্ডিকেট। কবে জনগণের সিন্ডিকেট হবে এর বিরুদ্ধে? সেজন্য আপনারা মানুষকে একটু এগিয়ে নিয়ে যান।
এ সময় প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম জানান, প্রতিযোগিতা কমিশন থেকে ইতোমধ্যে তেল ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বৈঠক করে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে, এ যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে- এটা আপনারা গণমাধ্যমকে বলেন। তাহলে মানুষ জানবে।
এর আগে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তেলের দাম সমন্বয় করতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ৮ টাকা বাড়ায় সরকার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের খুচরা দাম ১৮০ টাকা করার প্রস্তাব দেয় আমদানিকারকরা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৪ দফায়, বিভিন্ন অজুহাতে এক লিটার সয়াবিন তেলের খুচরা দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৮ টাকা। বর্তমানে কোম্পানি ভেদে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮৫ টাকা, দুই লিটার ৩৩০ থেকে ৩৫০ এবং পাঁচ লিটার ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।