পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শাংহাই ডেইলি : আপনি কি কল্পনা করতে পারেন সেই ১৯৮৫ সালে ইন্টারনেটের শুরুর মুহূর্তে তার একজন উচ্চাকাক্সক্ষী উদ্যোক্তা হওয়া কি অসাধারণ ঘটনা হতে পারত? সে সময় আপনার ইচ্ছামত যে কোনো ডটকম নাম পাওয়া সহজ ছিল। আপনাকে যা করতে হতো তা হলো আপনি যে নামটি চান সেটা চাওয়া। ওয়ান-ওয়ার্ড ডোমেইন, সাধারণ নামÑ এ সবই সহজলভ্য ছিল। এটা দাবি করার জন্য কোনো খরচও ছিল না। কয়েক বছর এ মহাসুযোগ বহাল ছিল।
১৯৯৪ সালে একজন ওয়্যারড লেখক লক্ষ্য করলেন যে ম্যাকডোনাল্ড ডটকমের নামটি তখনো কেউ দাবি করেনি। সুতরাং আমার উৎসাহে তিনি তা নিবন্ধন করেন। তিনি তা ম্যাকডোনাল্ডসকে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তবে ইন্টারনেট সম্পর্কে কোম্পানির অজ্ঞতা এত মজাদায়ক ছিল যে এটা এক বিখ্যাত গল্প হয়ে ওঠে।
ইন্টারনেট তখন ছিল এক ব্যাপক-উন্মুক্ত সীমান্ত। আপনার পছন্দমত যে কোনো ক্যাটাগরির ক্ষেত্রেই প্রথম এটা করা সহজ ছিল। ভোক্তাদের প্রত্যাশা ছিল অল্প এবং প্রতিবন্ধকতা ছিল একেবারেই কম। একটি সার্চ ইঞ্জিন চালু করুন। একটি অনলাইন স্টোর খোলায় প্রথম হোন। অ্যামেচার ভিডিও করুন। অবশ্যই তা তখনকার কাজ। এবার পেছনে তাকান, মনে হবে সেটলারদের একটি ঢেউ তখন থেকে প্রতিটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ও তৈরি করছে আর আজকের নবাগতদের জন্য শুধু ভীষণ কঠিন এবং গ্রন্থিল ক্ষেত্রগুলো রেখে দিচ্ছে। তিরিশ বছর পর এসে ইন্টারনেট অ্যাপস, প্ল্যাটফরম, ডিভাইস সজ্জিত এবং আগামী ১০ লাখ বছরের জন্য আমাদের মনোযোগ দাবি করার পর্যাপ্ত বিষয় তার রয়েছে। এমনকি আপনি যদি আরেকটি ক্ষুদ্র আবিষ্কারের মাধ্যমে তার সংকোচন ঘটানও, অসম্ভব বিস্ময়কর প্রাচুর্যের মধ্যে কে তা লক্ষ্য করবে?
তবে ... তবে এখানেই ব্যাপার। ইন্টারনেটের ভাষায় এখনো কিছুই ঘটেনি। ইন্টারনেট এখনো তার শুরুরও শুরুতেই রয়েছে। এটা কেবল আসছে। আমরা যদি একটি টাইম মেশিনে চড়তে পারি, ৩০ বছর সামনের দিকে যাত্রা করি এবং সে সুবিধাজনক স্থান থেকে পিছন ফিরে আজকের দিকে তাকাই, আমরা উপলব্ধি করব যে, যেসব শ্রেষ্ঠতম সামগ্রী ২০৫০ সালের নাগরিকরা ব্যবহার করছে তার অধিকাংশই ২০১৬ সাল পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। ভবিষ্যতের মানুষ তাদের হলোডেক এবং চোখে পরার মতো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কন্ট্যাক্ট লেন্স ও ডাউনলোডযোগ্য এভাটার ও এ আই ইন্টারফেস দেখবে আর বলবে, “ওহ, তোমাদের আসলে ইন্টারনেট ছিল না” অথবা সে মানুষদের আখ্যায়িত করবেÑ “পিছিয়ে পড়া” বলে।
এবং তারা ঠিকই বলবে। কারণ, এখন আমাদের প্রেক্ষাপট থেকে দেখলে এ শতকের প্রথমার্ধের শ্রেষ্ঠতম অনলাইন বিষয়গুলোর সবই আমাদের সামনে রয়েছে। এ সব বিস্ময়কর আবিষ্কার নিচে ঝুলে থাকা ফল আঁকড়ে ধরার মতো পাগল স্বপ্নদর্শীর অপেক্ষা করছে যা ১৯৮৪ সালের ডট-কম নামের সমতুল্য।
কারণ, ২০৫০ সালে গ্রেবিয়ার্ড আপনাকে যা বলবে তার মধ্যে অন্য বিষয় আছে : আপনি কি কল্পনা করতে পারেন ২০১৬ সালে একজন সংস্কারক হওয়া কি অসাধারণ ব্যাপার হতো? এটি একটি পূর্ণ বিস্ফোরিত সীমান্ত। আপনি প্রায় যে কোনো ক্যাটাগরি গ্রহণ করতে পারেন এবং তাতে কিছু এ আই যোগ করতে পারেন, রাখতে পারেন মেঘে। অল্প কিছু যন্ত্রের মধ্যে একটি বা দু’টি সেন্সর ছিল, এখনকার মত শত শত নয়। প্রত্যাশা ও প্রতিবন্ধকতা ছিল কম। প্রথম হওয়া ছিল সহজ এবং তারপর তারা দীর্ঘশ^াস ফেলতÑ “ওহ, আমরা যদি শুধু উপলব্ধি করতাম যে তখন থেকে সব কিছু কীভাবে সম্ভব।”
অতএব সত্য হচ্ছে : ২০১৬ সালে আজ, এ মুহূর্তটি হচ্ছে শুরু করার সবচেয়ে ভালো সময়। বিশে^র সমগ্র ইতিহাসে কোনো কিছু আবিষ্কারের এর চেয়ে ভালো কোনো দিন ছিল না। অধিকতর সুযোগ, অধিকতর সম্ভাবনা, নি¤œতর প্রতিবন্ধক, উচ্চতম লাভ বা ঝুঁকি অনুপাত, ভালো আয়, এখনকার চেয়ে বৃহত্তর উন্নতির এর চেয়ে ভালো সময় আর কখনো ছিল না।
গত তিরিশ বছর এক চমৎকার সূচনা ক্ষেত্র তৈরি করেছে, প্রকৃত বিরাট সব জিনিস তৈরীর এক সুদৃঢ় মঞ্চ। কিন্তু যা মানানসই তা হবে পৃথক, বাইরের ও অন্যকিছু। আমরা যা তৈরী করব তা অব্যাহতভাবে, নিরলসভাবে কিছু একটা হবে। আর সবচেয়ে শীতলতম সামগ্রী এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
আজকের দিনটি প্রকৃতই পূর্ণ বিস্ফোরিত সীমান্ত। আমরা সবাই মানানসই। শুরুর জন্য এটাই মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো সময়। আপনি দেরি করেননি।
*নিবন্ধকার কেভিন কেলি ওয়্যারড ম্যাগাজিনের নির্বাহী সম্পাদক। তিনি বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় লিখে থাকেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।