পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি বোমা মেরে মানুষ খুন করে, তাই জনগণ তাদের ভয় পায়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গতকাল রোববার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে, ঝলসে দিয়েছে শত শত মানুষকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার।
হাছান বলেন, রাজধানীতে কোনো সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্যকে আমলে আনা হয়। বিএনপি এর আগেও সভা সমাবেশের নামে রাজধানীতে সহিংসতা করেছে। কাজেই যে কোনো অনুমতি দেয়ার আগে আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ জনগণের জানমালের নিরাপত্তাটিকে বিবেচনায় আনে।
হাছান জানান, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকেও রাজধানীতে কোনো সভা-সমাবেশ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।
৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করার জন্য খালেদা জিয়ার আহ্বানের সমালোচনা করে হাছান বলেন, সেদিন দেশে কোনো বিপ্লব হয়নি। ১৯৭৫ সালের সেদিন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে তাদের লাশের ওপর হেঁটে জেনারেল জিয়া ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এ রকম একটি বেদনাবিধূর দিনে খালেদা জিয়া উৎসবের ডাক দেবেন, তা এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সরকারের প্রতি খালেদা জিয়ার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, দয়া করে সংবিধান পড়ুন। দেখুন সেখানে কি লেখা আছে। সংবিধান অনুযায়ী এটি প্রেসিডেন্টের কাজ।
১০ টাকার চাল সম্পর্কে ক্ষমতাসীন দলের এ প্রচার সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে এই সুবিধার আওতায় আসছে দেশের প্রায় ৩ কোটি দরিদ্র মানুষ। চাল বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো দলীয় পরিচয়কে আমলে আনা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের দরিদ্র জনগণ যেমন এই চাল পাচ্ছে, বিএনপির দরিদ্র জনগণও তেমনি এই বরাদ্দকৃত চালের অংশীদার হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোথায় সরকারের এই মহতী উদ্যোগের প্রশংসা করবেন, তা না করে তিনি লাগাতার সরকারের এই উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, যা দুঃখজনক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।