পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। গতকাল রোবার দুপুরে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, এ ধরনের ঘটনায় আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। সরকারও এ সম্পর্কে অত্যন্ত সজাগ ও তৎপর রয়েছে। এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমরা মর্মাহত। একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। নাসিরনগরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশ প্রশাসন আপনাদের পাশে রয়েছে। আপনাদের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। তিনি বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সব ধর্মের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রতিটি উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় শহরে সম্প্রীতি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সবাই মিলে সর্বাত্মকভাবে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা হবে। দেশের যে কোনো স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, নাসিরনগরের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব নিরূপণ, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি জানান সভায় উপস্থিত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাসংক্রান্ত মামলাগুলো মনিটরিং করার জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে একটি মনিটরিং সেল গঠনেরও দাবি জানান।
সভায় এসবির অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, ডিএমপি কমিশনার মো: আছাদুজ্জামান মিয়া, এসবির ডিআইজি মাহবুব হোসেন, সিআইডির ডিআইজি ভানুলাল দাস, পিবিআইর ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, সিটি এসবির ডিআইজি মলিক ফখরুল ইসলাম, ডিআইজি (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) এ কে এম শহিদুর রহমান, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো: আনোয়ার লতিফ খান, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি শুদ্ধানন্দ মহাথের, সহ-সভাপতি রনজিত কুমার বড়ুয়া ও মহাসচিব ড. প্রণব কুমার বড়ুয়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।