পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুক ফাঁটা কান্না আর আহাজারী নিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের দরবারে পানাহ চেয়ে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ৪ দিনব্যাপী বিশ্ব উরশ শরীফ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতের শেষ প্রহরে রহমতের সময় থেকে এ দরবার শরীফে ৪র্থ দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তোলাওয়াত, মিলাদ, জিকির এবং মোরাকাবা শেষে ফজর নামাজ আদায় করেন লাখ লাখ মুসল্লি। ফজর নামাজ বাদে মিলাদ শেষে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর সাহেব হযরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী সাহেবের রওজা জিয়ারতের নিয়তে ফাতেহা আদায়ন্তে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দেশ ও জাতিসহ মুসলিম উম্মাহর জন্যও বিশেষ দোয়া করা হয়।
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় ২৫ মিনিটব্যাপী এ মোনাজাতে দেশ বিদেশের লাখ লাখ জাকেরান, আশেকান, মুসল্লিয়ান অংশ নেন। গত শুক্রবার জুমার নামাজ বাদ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর সাহেবের রওজা জিয়ারতের মাধ্যমে এ উরশ শরীফের সূচনা হয়। এ দরবার শরীফের বিশাল সামিয়ানার নিচে ধনী-গরীব ও বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়সহ জিকির এবং মোরাকাবায় অংশ নেয়া ছাড়াও দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণের ওয়াজ নসিহত শোনেন। এবারের উরশে বিশ্বের ২৫টি দেশের বিপুল সংখ্যক জাকেরান ও আশেকান অংশ নেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, কুচবিহার ছাড়াও আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্য থেকেও বিপুল সংখ্যক জাকেরান ও আশেকান ফরিদপুরের আটরশির বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের উরশে ছুটে আসেন।
দরবারে উরশে অংশগ্রহণকারী সবার জন্য দু বেলা আহারসহ অজু গোসল এবং নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। মোনাজাত শেষ হবার পরে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের নিয়মানুযায়ী বিদায়ী খানা খেয়ে সমবেত মুসল্লিরা যার যার ঘরে ফিরতে শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবসক যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।