পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ২০২০ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণরা। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা ১১টায় তারা ঢাকা কলেজের সামনে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন।
প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বেলা ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. একে এম গোলাম রাব্বানী এসে তাদেরকে আলোচনায় বসতে বলেন। কিন্তু তারা প্রক্টরের কথায় কর্ণপাত না করে বিভিন্ন উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন এবং সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান। প্রায় ২০ মিনিট ধরে প্রক্টর তাদের অপেক্ষায় থাকলেও তারা আলোচনায় বসতে রাজি হননি। পরে বিকেল ৫টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন।
আন্দোলনের সমন্বয়ক মহিদুল ইসলাম দাউদ বলেন, আমরা গত ৩ মাস ধরে আন্দোলন করছি। কিন্তু ঢাবি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছে না। আমাদের দাবির পক্ষে ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসি এমনকি ঢাবির অনেক শিক্ষক সমর্থন জানিয়েছেন। এটা আমাদের অধিকার।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর ও মেডিকেলেও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাহলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেন থাকবে না? অতিদ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।এদিকে দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর অধিক শিক্ষার্থীর চাপ সামলানো, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি বন্ধ করা, সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া, মেধাবীদের সুযোগ দেওয়াসহ নানা কারণে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় ঢাবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।