Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীই সাংবাদিক নেতাদের সব কথা বলে দেন : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:১৭ পিএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সব কথা তাদের আগে প্রধানমন্ত্রীই বলে দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংবাদকর্মীরা দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। সাংবাদিক সংগঠনের নেতা যারা আছেন তারা এখন অলংকারের মতো হয়ে গেছেন। কারণ তাদের সব কথা তাদের আগে প্রধানমন্ত্রীই বলে দেন।

রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের কথা বলা হয়। আরও নানা সমালোচনা করা হয়। কিন্তু অষ্টম ও নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নের কথা বলা হয় না। একটা রাষ্ট্র সুশৃঙ্খলভাবে চলতে হলে আইনের ভিত্তিতেই চলতে হবে। দেশে কোনো অপরাধী আইনের বাইরে থাকবে না।

তিনি বলেন, একজন সাব-এডিটর তার মেধা কাজে লাগিয়ে পাঠকদের সামনে সংবাদ উপস্থাপন করেন। তারা সারাদিন-সারারাত কাজ করেন। পরিবারেও অনেকে সময় দিতে পারেন না। বাইরে সংগঠন গোছানোর সুযোগ তাদের কম। তাই সবাইকে আহ্বান জানাই, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংগঠিত হয়ে হলেও দেশের গণমাধ্যম গঠনে আপনারা কাজ করবেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংবাদকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের খবর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। কিন্তু বিগত ৫০ বছরেও আমরা সংবাদকর্মীদের যথাযথ স্থান ও মর্যাদা দিতে পারিনি।

স্বাধীনতার পর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর গণমাধ্যম গঠনে চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তাকে হত্যা করা হলো। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আর কেউ পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু শব্দটাই লিখতে পারেনি। বন্দুকের নলের কাছে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছিল। আমরা সত্য থেকে সড়ে গিয়েছিলাম। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারানো বাংলাদেশকে আবারও সত্য ও সঠিক পথে ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি যেভাবে সাংবাদিকদের পাশে আছেন, আগের কোনো প্রধানমন্ত্রী এমনভাবে ছিলেন না।’ যোগ করেন খালিদ মাহমুদ।

ডিএসইসি সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ ও নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ও শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সংগঠনের সাবেক সভাপতি কায়কোবাদ মিলন, কে এম শহীদুল হক, আল মামুন, আশরাফুল ইসলাম, নাসিমা সোমা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, সাহাদৎ রানা, মুক্তাদির অনিক, বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পী, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান, অর্থ সম্পাদক অলক বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সামশুল আলম সেতু, দফতর সম্পাদক মনির জারিফ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাওফীক অপু, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক লাবিন রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর কবীর, নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, জাফরুল আলম, ফারজানা জবা, আবদুর রহমান খান, সাইফুদ্দিন, সাফায়েত হোসেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ