পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিচারপতিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০১৫ সালে আইনে সরকারি কর্মচারীরা ১৮ মাসের ছুটি নগদায়ন সুবিধা ভোগ করে আসছে। সেই সুবিধা থেকে বিচারপতিরা বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন। এরূপ সুবিধাদি অন্তর্ভুক্ত করে আইনের খসড়া প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলে জানা গেছে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত পাঠানো আইনের সারসংক্ষেপে বলা হয়, সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের বিষয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন সুপ্রিম কোর্ট জাজ (লিভ, পেনশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ সময়োপযোগী করে নতুন আইন আকারে বাংলা ভাষায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২২ খসড়া প্রস্তুত করা হয়। প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি সময়োপযোগী করার উদেশ্যে পূর্বের আইনের কিছু বিধান সংশোধন করা হয়েছে। অর্থ বিভাগের ২৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখের স্মারকমূলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টেও বিচারকগণ পেনশন পুনঃস্থাপন সংক্রান্ত সুবিধাদি ইতোমধ্যে প্রাপ্ত হওয়ায় এবং চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ অনুসারে সরকারি কর্মচারীগণ ১৮ মাসের ছুটি নগদায়ন সুবিধা ভোগ করায় বিচারকগণের জন্য এরূপ সুবিধাদি খসড়া আইন অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া আইনজীবী হতে নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণের ভবিষ্যৎ তহবিল সংক্রান্ত বিধান সংযোজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর সুবিধা সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্তি ও প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়া প্রস্তাব পর্যালোচনা করে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত খসড়া আইনটির ওপর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত এবং গত ২৫ মে ২০২১ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধারা ১৪-তে বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইন অনুসারে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস হইতে বিচারক নিয়োগের বিধান থাকায় মূল আইনের সিভিল সার্ভিস শব্দগুলোর পরিবর্তে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস শব্দগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ধারা ১৯-এ প্রস্তাব করা হয়েছে, অর্থ বিভাগ, প্রবিধি অনুবিভাগ, প্রবিধি-১ অধিশাখার ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল দেয়া চিঠিতে ১৫ বছর অতিক্রান্তের পর বিচারপতিগণের পেনশন পনঃস্থাপন বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে বিধায় উক্ত বিধানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ধারা ২০-এ প্রস্তাব করা হয়েছে, চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মচারী ১৮ মাসের ছুটি নগদায়ন সুবিধাপ্রাপ্ত হন বিধায় বিচারগণের ক্ষেত্রে উক্তরূপ সুবিধাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খসড়া আইনের ১৬ নং ধারায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিফ জাস্টিস অব দ্য সুপ্রিম কোর্ট শব্দগুলোর স্থলে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের পূর্বে বা পরে মৃত্যুবরণ করলে ১৫ বছর পর্যন্ত পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তির বিধানটি বর্তমানে প্রচলিত নেই বিধায় বিচারকদের ক্ষেত্রে উক্ত সময়সীমা অন্তর্বুক্ত করা হয়নি। ধারা ১১-তে সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০ অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য পারিবারিক পেনশনের বিধানাবলি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণের জন্য অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।