Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশ জনবান্ধব হয়েছে

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নাগরিক সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্ণাঢ্য আয়োজনে ডিএমপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পুলিশ জনবান্ধব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এমন একটি পুলিশ বাহিনীর কথাই বলেছিলেন। গতকাল বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নাগরিক সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, এখন ৩৪ হাজার সদস্য নিয়ে ডিএমপি চলছে, আগামীতে হয়তো আরও বাড়বে। বঙ্গবন্ধু জনতার পুলিশ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। আজকের পুলিশ জনবান্ধব পুলিশ হয়েছে। মহামারিতে যখন ছেলে মায়ের লাশ ফেলে পালিয়েছিল, তখন পুলিশ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। পুলিশ ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করছে বলেই আমরা একটি নির্ভরযোগ্য শহরে বসবাস করছি বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের জন্য সাসটেইনেবল পিস (টেকসই শান্তি) দরকার। এ জন্য দরকার সাসটেইনেবল সিকিউরিটি। আর সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একান্ত সাক্ষাত তিনি পুলিশের ভুয়সী প্রশংসা করেছিলেন। জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনসহ সবকিছুতে পুলিশ যে সফলতা পেয়েছে তা মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করেছেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন বলেন, ১৯৯০ সালের দিকে ঢাকায় অপরাধের যে মাত্রা ছিল তা পরিবর্তন হয়েছে। এখন পত্রিকার পাতা খুললে এই শহরে অপরাধের চিত্র নেই। আখতার হোসেন বলেন, ঢাকার এখন একটি জটিল পরিস্থিতি। একটি শহরের রাস্তা থাকা দরকার ২০ শতাংশ। রাস্তা রয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। এর মধ্যেই ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হয়।
অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি সবকিছু রাজধানীকে কেন্দ্র করে। এই শহরকে কেন্দ্র করে আমাদের উন্নয়নের অভিযাত্রা। এই উন্নয়ন ধারা ঠিক রাখতে হলে, ঢাকাকে শান্তিপূর্ণ রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডিএমপিকে বাংলাদেশ পুলিশের মুখ হিসেবে বলে থাকি। আগামী দিনে ডিএমপি নগরবাসীর সেবা আরও নিশ্চিত করবে।
এর আগে বিকাল সাড়ে চারটার দিক কেক কেটে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ এবং ডিএমপির পুলিশ কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, কেবল ধারণার ওপর ভিত্তি করে সবসময় আমাদের সমালোচনা করবেন না। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি, থানায় এসে আমাদের সেবা দেখে যান। আমি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলাম, আর আপনি ধারণা থেকে বলে দিলেন ঘুষখোর, তাহলে কি বন্ধুত্ব হবে? এক তরফা বন্ধুত্ব হয় না। আপনারা বলুন কোথায় কাজ করতে হবে, পরামর্শ দিন আপনার সেবায় ডিএমপি।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাহিনী রেখে যেতে চাই, যাতে তারা সকলের বিপদে পাশে থাকে। আজকে আমার গায়ে ইউনিফর্ম আছে, কালকে হয়তো এটি থাকবে না, আমি আপনার কাতারে চলে আসবো। তাই আমরা এমন বাহিনী রেখে যেতে চাই, আপনার বিপদেও পাশে দাঁড়াবে, আমার বিপদেও হাত বাড়িয়ে দিবে।
এর আগে গতকাল বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিএমপির হেডকোয়ার্টার্স থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন। এর আগে বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে গিয়ে শেষ হয় র‌্যালিটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ জনবান্ধব

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ