পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা নগর পরিবহনে যাত্রীদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলমান এ রুটে আরও গাড়ি বাড়ানোর দাবি করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাস বৃদ্ধি পেলে এখনকার মতো ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে না। অপেক্ষার পরিমাণ কমানোর জন্য বাস নামানোর দাবি তাদের। দুই কোম্পানির ৫০টি বাস দিয়ে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহন বাসের পরীক্ষামূলক চলাচল। প্রথমে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চালু হয়। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে আরও তিনটি রুট চূড়ান্ত হয়।
জানা যায়, রাজধানীতে যখন ওয়েবিল নামক এক যন্ত্রণায় দৃর্বিষহ যাত্রীরা তখন ঢাকা নগর পরিবহন যেন এক আদর্শ যাতায়াত ব্যবস্থা। সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন যাত্রী উঠলেই মিনিবাসে ৮ টাকা আর বড় বাসে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। এই ভাড়া সাড়ে চার কিলোমিটার পর্যন্ত। এরপর প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়ার কথা ২ টাকা ১৫ পয়সা হিসেবে। কিন্তু নগরীতে চলা বাসগুলো কিলোমিটারের এই হিসাব বাদ দিয়ে কিছুদূর পরপর একটি স্টপেজ তৈরি করেছে। প্রতিটি স্টপেজে একটি কাগজে যাত্রীর সংখ্যা লিখে দেয়া হয়। ওয়েবিলের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে কিলোমিটারপ্রতি ৫ টাকার বেশি ভাড়া আদায় করা হয়। ঠিক তখনই সরকারি ভাড়ার হার মেনে কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ৫ পয়সা হিসেবে ভাড়া নেয়া ঢাকা নগর পরিবহন। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে চিটাগং রুট পর্যন্ত চলা ৫০টি বাসে এখন দিনে নির্ধারিত ভাড়া আদায় হচ্ছে। ফলে আগামীতে আরও বেশি ভাড়া পাওয়ার আশা করছেন কর্মকর্তারা।
তবে সড়কের পাশে যাত্রীছাউনি থাকার কথা থাকলেও অনেক জায়গায় তা এখনও দেখা যায়নি। আবার অনেক জায়গায় পুরাতন ভাঙাচোরা যাত্রীছাউনি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় নেই যাত্রীছাউনী। সেখানে নগর পরিবহনের সবুজ রঙের ছাতা বসিয়ে টিকিট বিক্রি করছেন কাউন্টারের লোকজন। কাউন্টারের আশেপাশের যাত্রীছাউনীও কোনটার অবস্থা খুবই খারাপ। কোনটার নেই বসার সিট আবার কোনটার মধ্যে ময়লা-অবর্জনা রেখে দেয়া হয়েছে। যা যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উপযোগী নয়। এর মধ্যে আবার নতুন একটি অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিআরটিসি ও ট্রান্সসিলভার বাসচালকদের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য রয়েছে।
আর্থিক সুবিধা কম থাকায় বিআরটিসি বাসের চালকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। ট্রান্সসিলভার চালক ও সহকারীকে খাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এ টাকা পাচ্ছেন না বিআরটিসি বাসের চালকরা। এ ছাড়া ট্রান্সসিলভার বাসে চালকের সহকারী থাকলেও নেই বিআরটিসি বাসে।
নগর পরিবহনে চালকদের সুযোগ-সুবিধাও বেশি। বেসরকারি বাস কোম্পানির চালক ও তার সহকারী নির্ধারিত বেতনের বাইরে প্রতিদিন কেবল খাওয়ার খরচ হিসেবে পান ৫০০ টাকা। যদি দুটি ট্রিপের বেশি (যাওয়া-আসা) একটি ট্রিপ দেন, তখন সেই ট্রিপের জন্য দেয়া হয় আরও ৫০০ টাকা।
শামীম নামের নামের এক যাত্রী বলেন, ঢাকা নগর পরিবহন চালু হওয়ার পর থেকে সার্ভিস এখনো ভালো। তবে অন্য বাসের কারণে যাত্রী কম থাকে। তবে এরকম যাত্রী থাকলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা। এই বাসের অন্য বাসের সাথে ঠেলাঠেলি নেই। ভাড়া নিয়েও কোন ঝগড়া নেই। এছাড়া এই রুটে কিছু নতুন বাস নামানো হলে যাত্রীদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
খায়রুল নামের আরেক যাত্রী বলেন, যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা করে না। কাউন্টারে গিয়ে শৃঙ্খলভাবে যাত্রীরা টিকিট কেটে বাসে উঠে। অন্যদের তুলনায় পরিষেবা ভালো। নিরাপদে বাসে উঠতে এবং নামতে পারি কারণ বাসগুলো যাত্রী তোলার সময় অন্য বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে না। তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে কাউন্টার হলে ভালো হয়।
এক শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার বলেন, এ পরিবহনটিতে চড়ে খুবই ভালোলাগে। এই বাসের চালক ও হেলপারের সাথে কোন ধরনের কথা কাটাকাটির সুযোগ নেই। বাসের কাউন্টারগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ভাড়াই নেয়া হয়।
নগর পরিবহনের বিআরটিসি বাসের এক চালক বলেন, ট্রান্সসিলভার চালক ও সহকারীকে নিয়মিত বেতনের বাইরে খাবারের ৫০০ টাকা পান। এর পরে মাস শেষে তারা বেতন তো পাচ্ছেই। আর আমরা শুধু বেতনটাই পাই, যা দিয়ে আমাদের চলে না। এই বাসে নেই কোন হেলপার। হেলপার থাকলে ভালো হতো। এখন পর্যন্ত দুই রকমের হিসেব নিয়ে কোনো সুরাহা হয় নাই।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক ও বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কমিটির সদস্যসচিব নীলিমা আখতার জানান, অ্যাপের মাধ্যমে নিজেরাই বুঝতে পারি কতগুলো টিকিট বিক্রি হয়েছে। কোন কাউন্টারে কত টিকিট বিক্রি হয়, সেটাও দেখা যায়। বিআরটিসির নিজস্ব পে স্ট্রাকচার আছে। বিআরটিসির চালকদের ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রেড আছে। যে চালক পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন, তার বেতন এক রকম। যিনি ১০ বছর ধরে চাকরি করছেন, তার বেতন আরেক রকম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।