পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেলেও জাতীয় জরিপে অগ্রগামিতা ধরে রেখেছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। গত শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের সর্বশেষ জরিপের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন হিলারি ক্লিনটন। ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
এর মাত্র কয়েকদিন আগে ৩০ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত করা এই মতামত জরিপে ৪৪ শতাংশ সম্ভাব্য ভোটার হিলারির পক্ষে এবং ৩৯ শতাংশ ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিবেন বলে জানিয়েছেন। জরিপে দেখা গেছে, সপ্তাহজুড়ে হিলারির অগ্রগামিতা ৪ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত উঠানামা করেছে। এদিকে, অন্যান্য মতামত জরিপেও দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রমেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় জরিপগুলোর গড় করে প্রকাশ করা রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকসের হিসাব অনুযায়ী, হিলারির অগ্রগামিতা গত সপ্তাহের পাঁচ পয়েন্ট থেকে হ্রাস পেয়ে শুক্রবার দুই পয়েন্টেরও নিচে নেমে গেছে। এটা অনেকটা ২০১২-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ের মতো অবস্থা। ওই সময়ে নির্বাচনের আগের চূড়ান্ত দিনগুলোতে রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে দেখা গিয়েছিল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপাবলিকান মিট রমনির চেয়ে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী বারাক ওবামা তিন থেকে সাত পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। ওই সময় রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকস্ দেখিয়েছিল, নির্বাচনের আগে ওবামার অগ্রগামিতা প্রায় নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরপরও জনপ্রিয় ভোটে চার শতাংশ অগ্রগামিতা নিয়ে ওবামা পুনর্নির্বাচিত হন। জাতীয় জরিপে অগ্রগামিতা সত্ত্বেও অঙ্গরাজ্যগুলো ধরে করা আলাদা জরিপে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে হিলারি আগের অবস্থান হারিয়েছেন। রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে দেখা গেছে, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং মিশিগান অঙ্গরাজ্যে হিলারি আগের অবস্থান হারিয়েছেন এবং ট্রাম্পের সঙ্গে তার লড়াই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠছে। দোদুল্যমান এই অঙ্গরাজ্যগুলো ভোটাররা রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট, যে কোনো দিকে ঝুঁকে পড়তে পারেন এবং এখান থেকেই নির্ধারিত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহূর্তের ভোট টানতে ব্যস্ত রয়েছেন হিলারি-ট্রাম্প আর ভোটারদের আকৃষ্ট করতে শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিকে বিভিন্ন জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে হিলারি ভালো ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষদিকে এসে জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পের জনসমর্থন আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। অনেকে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছেন। এ প্রেক্ষিতে ডেমোক্র্যাটদের জন্য নিরাপদ বলে যেসব রাজ্যকে বিবেচনা করা হচ্ছিল সেসব রাজ্যের দিকেও এখন বিশেষ নজর দিচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন। দিন-রাত চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন রাজ্য। অংশ নিচ্ছেন সভা, সমাবেশে। ট্রাম্পও বসে নেই। জনসমর্থন বেড়ে যাওয়ায় আশাবাদী হয়ে উঠেছেন তিনি। তাই ভোটারদের টানতে হিলারির বিরুদ্ধে সবরকম অস্ত্র ব্যবহার করছেন তিনি। উভয় দল এখন সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের চেয়ে নিজ দলের সমর্থকদের ভোট টানতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।