পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বময় বাংলাভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে আর অপরদিকে বিএনপি বাংলা, বাঙালি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করছে।
গতকাল সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলীয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এর আগে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহিদদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও শহিদদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন তথ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের এদিনের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করছে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই দেশ ও বাঙালির সকল অর্জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের নিয়ে রাজনীতি করে বিএনপি। বাঙালি চেতনাকে বিএনপি ধারণ করে না, বেগম জিয়াও করেন না। সেকারণে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য তাদের বেলাতেই প্রযোজ্য। বাংলার চেতনাকে, বাঙালির এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিএনপিই ধ্বংস করেছে।
সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বাঙালির কন্ঠরোধ করতে চেয়েছিল, বাঙালি ও বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, আমাদের ভাষার অধিকার হরণ করতে চেয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে উনিশশ› বায়ান্ন সালের এই দিনে ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এবং সেই রক্তক্ষয়ী প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে আমাদের ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তেমনি আজকের এই দিনে যারা দেশবিরোধীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের বিরুদ্ধে, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বময় বাংলাভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে।
ড. হাছান বলেন, ‹জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি আমরা। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বাহাউদ্দিন নাসিমসহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।