পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শরীরে প্রায় প্রতিটি অঙ্গই মোটামুটি বিশ্রাম নেয়। তবে মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় শুরু হয় হার্টের চলা। আর এই চলা থামে পৃথিবীতে এসে মৃত্যুর মধ্যদিয়ে। অর্থাৎ মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত হার্টের কোন বিশ্রাম নেই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই অঙ্গটি খেটে চলে। রক্তকে পাম্প করে পৌঁছে দেয় শরীরের প্রতিটি প্রান্তে। শরীরের প্রতিটি প্রান্তে রক্তকে পৌঁছে দেয় বলেই আমরা বেঁচে থাকি।
এই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গের প্রতিটি বিষয়কেই মাথায় রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে হার্ট রেটও স্বাস্থ্যের বিষয়ে অনেক তথ্য দেয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে চাইলে শুধুমাত্র হাতের দুটি আঙুল ও ৩০ সেকেন্ডের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে মাপতে হয় রেস্টিং হার্ট রেট। বিশ্রাম নেওয়ার সময় হার্ট রেট যা থাকে তাকে বলা হয় রেস্টিং হার্ট রেট। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় স্বাস্থ্য কেমন আছে।
হার্ট রেট ও পালস রেট : হার্ট মিনিটে যতবার স্পন্দিত হচ্ছে তা হল হার্ট রেট। অপরদিকে পালস রেট হল ভিন্ন। এটা মানুষভেদে আলাদা হয়। বিশ্রাম নেওয়ার সময় পালস রেট কমে যায়। আর শারীরিক পরিশ্রম বা খাটাখাটনির সময় পালস রেট বেড়ে যায়।
হার্ট রেট মাপবেন কী ভাবে? : ১. প্রথম নিজের মধ্যমা ও অনামিকা জোড়া করুন। এবার নিজের কবজিতে বা ঘাড়ে রাখুন এই দুই আঙুল। জায়গাটা দপদপ করবে। এই হল আপনার পালস রেট। ২. প্রথম চেষ্টাতেই পালস না পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে একটু আঙুল সরাতে থাকুন। আর খুব চাপ দেবেন না। একবার নাড়ি পেয়ে গেলে সেখানেই আঙুল রেখে দিন।
৩. এক্ষেত্রে হাতের সামনে ঘড়ি থাকলে দেখুন ৩০ সেকেন্ডে কতবার পালস দপদপ করছে। মনে মনে গুণে নিন। ৪. এই পদ্ধতি কয়েকবার ধরে চালিয়ে যেতে হবে। তারপরই পাওয়া যাবে আসল রিডিং। ৫. এরপর ১০ সেকেন্ডের জন্য পালস কতবার দৌড়াচ্ছে দেখুন। তারপর এর সঙ্গে ৬ গুণ করুন। গুণ করার পর যেই সংখ্যাটা পেলেন তা হল আপনার মিনিটের হার্ট রেট।
স্বাভাবিক হার্ট রেট কী : বিশ্রামরত অবস্থায় ৬০ থেকে ১০০ হল স্বাভাবিক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৯০ হল হার্ট বিটের গড়।
কী সমস্যা? : এক্ষেত্রে গবেষণা বলছে, বিশ্রামরত অবস্থায় যতটা বেশি থাকে হার্ট রেট ঠিক ততটাই কম বয়সে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে। হার্ভার্ড হেলথ সাইটসের ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে এই তথ্য। এক্ষেত্রে বিশ্রামরত অবস্থায় ৮১ থেকে ৯০-এর মধ্যে হার্ট বিট থাকলে কম বয়সে মৃত্যুর আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া ৯০-এর উপর রেস্টিং হার্ট রেট থাকলে সেই আশঙ্কা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৩ গুণ।
এদিকে রেস্টিং হার্ট রেট কম থাকলে বোঝানো হয় যে শরীর ভালো রয়েছে। এক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রম যারা নিয়মিত করেন তাদের হার্ট রেট থাকে কম।
কতবার চেক করা উচিত? : বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে কয়েকবার এই হার্ট রেট মাপা যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় এই হার্ট রেট দিনের আলাদা আলাদা সময়ে মাপতে পারলে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।