Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেই হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ভর্তি পরীক্ষা

প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফারুক হোসাইন ও ইখতিয়ার উদ্দিন সাগর : মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিবছরই বাড়ছে পাসের হার। শিক্ষার্থীরা একের পর এক রেকর্ড গড়ছে জিপিএ-৫ পেয়ে। অথচ তারাই খেই হারিয়ে ফেলছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়। জিপিএ-৫ পাওয়া হাজার হাজার শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজিতে ন্যূনতম পাস মার্কস তুলতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক নম্বরের বেঁধে দেয়া শর্ত পূরণ করতেও ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। অথচ এরাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। দেশ সেরা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশই ফেল করছে। ফলে প্রশ্ন ওঠেছে এটা শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে, বলা হচ্ছে, এই ব্যর্থতার কারণ কি শিক্ষার্থী নাকি শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি? শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একাডেমিক বইয়ের ২০ শতাংশ প্রশ্নও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে কমন পড়ছে না। তবে পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফল করা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় কেন তারা খেই হারিয়ে ফেলছে তার ত্রুটি এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় কোনো গলদ আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষাবিদেরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে এখন জ্ঞানের চর্চা নেই। শিক্ষার বিস্ফোরণ হচ্ছে, জিপিএ-৫ পাচ্ছে, গোল্ডেন হচ্ছে। কিন্তু তার ভেতরে মান নেমে যাচ্ছে।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। ভর্তি পরীক্ষায় ‘শিক্ষার্থী বাছাইয়ে ফুটপাত থেকে অখ্যাত লেখকদের বই কিনে পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন প্রণয়নের স্বচ্ছতা ও মান দেশব্যাপী স্বীকৃত’।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৫ পেলেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় কেন উত্তীর্ণ হতে পারছে না, তা নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছে, সৃজনশীল প্রশ্নে নির্দিষ্ট কিছু অধ্যায় পড়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। পুরো বিষয় আয়ত্বে না থাকায় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বুঝতে পারে না তারা। এক ঘণ্টার পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের উত্তর করার সময় চাপে জানা উত্তরও ভুল করে শিক্ষার্থীরা। ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কেটে নেয়ায় শেষ পর্যন্ত পাস নম্বর পায় না অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয় ১২০ পূর্ণ নম্বরের ৪০ শতাংশ। এরমধ্যে খ, গ ও ঘ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে পৃথক পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়। খ ইউনিটে ইংরেজিতে ৩০ নম্বরের মধ্যে পেতে হয় ৮ নম্বর, বাংলায় ৩০ এর মধ্যে ৮ এবং সাধারণ বিজ্ঞানে ৬০ নম্বরের মধ্যে ১৭ পাস নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। গ ইউনিটে ইংরেজিতে পাস নম্বর ১২।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের মধ্যে ১২০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে বাকি ৮০ নম্বর নির্ধারিত হয়। খ ইউনিটে ১২০ নম্বরের পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান এ তিন বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। খ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান, ক ইউনিটে বাংলা ইংরেজি ও বিজ্ঞান এভাবে প্রতিটি ইউনিটে বাংলা ও ইংরেজিতে পৃথকভাবে বাধ্যতামূলক পাস করতে হয়। ক ইউনিটে বাংলা ও ইংরেজিতে পাস নম্বর ৮, সব মিলিয়ে পাসের জন্য ৪৮ নম্বর পেতে হয়। গ ইউনিটের পরীক্ষায় ইংরেজিতে পাস নম্বর ১০।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্য বইয়ের বিষয়বস্তু থেকেই। কিন্তু উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েও ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারছে না বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। বাংলা ও ইংরেজিতে উভয় বিষয়ে ৩০ নম্বরের মধ্যে পাসের জন্য অন্তত ৮ নম্বরই তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী। এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ব্যাপক ফল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটের কোনোটিতেই ১৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। ক ইউনিটের পাসের হার ১৩ দশমিক ৫৫, খ ইউনিটে ১১ দশমিক ৪৩, গ ইউনিটে ৫ দশমিক ৫২ ও ঘ ইউনিটে ৯ দশমিক ৮৩। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটে পাস করেছি মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। এই বিভাগে ৯১টি আসন থাকলেও পাস করেছে ১৯ জন। অথচ এবছর এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। এইচএসসি, আলিম ও সমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৬ জন শিক্ষার্থী।
একই অবস্থা ছিল ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে। সেবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগে ভর্তির হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী। অথচ এই বিভাগে আসন সংখ্যা ১২৫টি। ইংরেজি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে ইংরেজিতে ২০ নম্বর পাওয়ার পাশাপাশি ইলেক্টিভ ইংলিশে ১৫ নম্বর পেতে হয়।
ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ইউনিটের পাসের হার গড়ে ১৭.১৮ শতাংশ। এর মধ্যে ‘ক’ ইউনিটে ২১ দশমিক ৫০, ‘খ’ ইউনিটে ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং ‘গ’ ইউনিটে ২০ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর সেবছর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৭৮ দশমিক ৩৩ ভাগ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ হাজার ৬০২ জন। আর এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ৯৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৩১৩। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৬ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী পাস নম্বর তুলতে ব্যর্থ হয়। পাঁচটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২ লাখ ১৭ হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৪১ হাজার ৮৯১ জন। পাস নম্বর তুলতে ব্যর্থ হন এক লাখ ৭৫ হাজার। এর মধ্যে ‘চ’ ইউনিটে ৯৫ ভাগ, ‘গ’ ইউনিটের ৯১ ভাগ, ‘খ’ ইউনিটের ৮৬ ভাগ, ‘ঘ’ ইউনিটের ৯১ ভাগ এবং ‘এ’ ইউনিটে ৫৮ ভাগ শিক্ষার্থী পাস নম্বর তুলতে ব্যর্থ হয়। পাসের হার ছিল ১৯ শতাংশ। এর আগে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ৫৫ ভাগ এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৫৩ ভাগ জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভর্তি পরীক্ষায় খ ও গ ইউনিটে বিষয়ভিত্তিক বাংলা ও ইংরেজিতেই বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করে। ইংরেজি ও বাংলা ব্যাকরণ অংশে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না তারা। ব্যাকরণ থেকে কিছু সূক্ষ্ম প্রশ্ন থাকে, যা উচ্চ মাধ্যমিকে বা সৃজনশীল সিলেবাসে শিক্ষার্থীরা পড়ে না। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সৃজনশীল পদ্ধতির পরীক্ষায় সূক্ষ্ম প্রশ্নের উত্তর কাছাকাছি হলেও নম্বর পাওয়া যায়। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে নম্বর পাওয়া যায় না। ভুল উত্তরের জন্য নম্বরও কাটা যায়।
ভর্তির ফলে একই চিত্র দেখা গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছর ক পাস করেছে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, খ ইউনিটে পাস করেছে ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, গ ইউনিটে সবচেয়ে কম ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ঘ ইউনিটে ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটে এবারের পাসের হার মাত্র ৬ শতাংশ, জে ইউনিটে পাসের হার মাত্র ১৪ শতাংশ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ডি’ ইউনিটের (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত) অবাণিজ্য শাখায় পাসের হার মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। ওই বিভাগে আসন ছিল ৯১টি কিন্তু এর বিপরীতে পাস করেছে মাত্র ১৯ জন পরীক্ষার্থী। ১৯ জন ছাড়া অন্য পরীক্ষার্থীরা ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ নম্বরও পাননি। পরে শূন্য আসনগুলো পূরণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তিনটি রাখা হয় প্রথমতÑ ন্যূনতম পাস নম্বর কমিয়ে, দ্বিতীয়তÑ বাণিজ্য শাখা থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী অবাণিজ্য শাখার জন্য নির্ধারিত আসন পূরণ করা এবং আসনগুলো শূন্য রাখা।
পাবলিক পরীক্ষা সাফল্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ব্যর্থতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নকর্তার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে বিশ্ববিদল্যয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নকর্তার মিল থাকে না। এ কারণে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ফল খারাপ করে। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বেশি বেশি প্রশিক্ষণের দিলে এ সমস্যা থেকে তাড়াতাড়ি উত্তরণ হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষাখাতে ব্যাপাক প্রসার ঘটেছে। তবে যেকোন বিষয়ে বেশি প্রসার ঘটলে কিছু ত্রুটি হয়। আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটিই দায়ী। মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের ফলাফল বাড়ানোর অপচেষ্টায় মূলত এ সমস্যার পিছনে মূল ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া উভয় ক্ষেত্রে উত্তরপত্র মূল্যায়নে যথেষ্ট ত্রুটি আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, আগে প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসরদের রাখা হত। এখন আগের মত নিয়ম মানে কিনা জানি না। তবে সিনিয়র শিক্ষকদের প্রাধান্য দিলে হয়তো বা প্রশ্নপত্রের মান আরো ভালো হত। তাহলে প্রশ্নপত্রের মান নিয়ে কোন কথা বলা সুযোগ থাকত না। তবে শিক্ষামন্ত্রীর কেন এ ধরনের কথা বলেছে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খেই হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ