পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন নির্বাচন ২০১৬
আর বাকি ৩দিন
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র ৩দিন বাকি থাকার প্রেক্ষিতে সর্বশেষ জরিপে হিলারি ক্লিন্টন তার লিড ধরে রেখেছেন। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে এগিয়ে আছেন ৬ দশমিক ১ শতাংশে। ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার বলছেন, তারা পক্ষ নিচ্ছেন মিজ ক্লিন্টনের। অপরদিকে ৪২ দশমিক ৮ শতাংশের সমর্থন রিপাবলিক্যান প্রার্থীর পক্ষে। ট্রাম্পএক্সক্লিন্টন নামের একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রাপ্ত জরিপে সর্বশেষ এ অবস্থান পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায় ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের বিষয়ে এফবিআই নতুন করে তদন্ত করার কথা বলার পর মিঃ ট্রাম্পের সমর্থনের মাত্রাটা বেশ কিছুটা বেড়েছে। এবিসি নিউজ ও ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের জরিপে মিঃ ট্রাম্পকে হিলারির ৪৫ শতাংশের বিপরীতে ৪৬ শতাংশ সমর্থন দেখিয়ে এগিয়েও রাখে। এর প্রতিক্রিয়ায় স্টক মার্কেটে পতন ঘটে। ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারের দরপতন ঘটতে ঘটতে এশিয়ার শেয়ার সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বনি¤েœ এসে দাঁড়ায়। এফএক্সটিএম প্রধান মার্কেট কৌশলী হুসেইন সায়েদ বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
মিজ ক্লিন্টনের প্রচার শিবির নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছে, এটা সঠিক নাও হতে পারে। আমেরিকানরা ভোটকেন্দ্রে যাবার মাত্র ক’দিন আগে ডেমোক্রেটিকরা তাদের মাঠ ফিরে পেতে শুরু করেছে বলেই মনে হচ্ছে। স্বচ্ছতার সাথে পূর্বাভাস দিয়ে জরিপকারীরা জানাচ্ছেন যে, এখন মিঃ ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হবার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে মাত্র ১৭ শতাংশ।
নিউইয়র্ক টাইমস ও সিবিএস নিউজের জরিপ
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমস ও সিবিএস নিউজের প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে মাত্র ৩ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবি আইয়ের ফের ই-মেইল তদন্ত নিয়ে হিলারি চাপে থাকলেও ট্রাম্প জয়ের নাগাল পাচ্ছেন না।
জরিপে দেখা গেছে, হিলারির পক্ষে ৪৫ শতাংশ ও ট্রাম্পের পক্ষে ৪২ শতাংশ ভোটার সমর্থন দিয়েছেন। তবে অনেকের মতে, নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে জরিপ কতটা কাজে লাগবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় তারা। কারণ ইতিমধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখের অধিক মার্কিন নাগরিক তাদের ভোট দিয়ে ফেলেছেন। এজন্য নিউইয়র্ক টাইমস ও সিবিএস নিউজের জরিপ বলছে, জরিপে অংশ নেয়া মার্কিনিদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন বলেছেন তারা ইতিমধ্যেই ভোট দিয়া ফেলেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস ও সিবিএস নিউজের জরিপ ছাড়াও বুধবার রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্পের চেয়ে হিলারির এগিয়ে থাকার ব্যবধান ৬ পয়েন্টে এসে দাঁড়ায়। এফবি আইয়ের ঘোষণার আগে গত সপ্তাহেও এই একই ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন হিলারি।
এফবিআইতে হাঙ্গামা
অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবি আই)। হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গেও সংস্থাটির দূরত্ব বেড়েছে। এফবি আই পরিচালক জেমস কমে অনেক ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের নির্দেশনা মানছেন না। এ নিয়ে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও এফবি আইয়ের নেতৃত্বের মধ্যে সংঘাত দেখা দিয়েছে। এফবি আইকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল লরেত্তা লিন্সের ওপর চাপ দিচ্ছেন বিচার বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তারা। দুই বিভাগের ডজন খানেক কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ মাস ধরে এফবি আইতে হাঙ্গামা ও নৈরাজ্য বিরাজ করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিভিন্ন বিষয়ের তদন্ত নিয়ে এ দ্বন্দ্ব আরও ফুঁসে উঠেছে। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খোলার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এফবি আইয়ের ওয়াশিংটন সদরদফতর ও নিউইয়র্ক অফিসের হাই প্রোফাইল কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী একজনকে রাজনৈতিকভাবে অসুবিধায় ফেলতে অথবা কাউকে রক্ষা করতে এফবি আই তার ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বিভিন্ন তদন্ত চালাচ্ছে। এর মধ্যে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে কর্মকর্তাদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একটি গোপন রেকর্ড ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের হাতে এসেছে।
গত জুলাইয়ে এফবিআই পরিচালক জেমস কমে আকস্মিকভাবে ঘোষণা দেন হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল তদন্ত নিয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করা হবে না। জনসম্মুখে নজিরবিহীন এ ঘোষণা দেয়ার আগে নিয়ম থাকলেও বিচার বিভাগকে অবহিত করা হয়নি। আবার নির্বাচনের আগমুহূর্তে হঠাৎ হিলারির ই-মেইল নিয়ে নতুন তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে এখনই কথা না বলতে বিচার বিভাগের নির্দেশনা থাকলেও তা মানেননি জেমস কমে। এফবিআইয়ের কর্মকা- নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এমন বিতর্ক উঠলেও বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, তিনি গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করবেন না।
মিশিগানে হিলারির পক্ষে বাংলাদেশীদের র্যালি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে মিশিগানে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের আয়োজনে হিলারির পক্ষে নির্বাচনী র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ শনিবার বিকালে হামট্রামিকে অনুষ্ঠিতব্য এ র্যালিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশিগানের সব কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশী-আমেরিকানদের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চলছে প্রচারণা। যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে মার্কিন নির্বাচনের দিকে। প্রচারণার শেষ সময়ে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দুই শিবিরই চরম ব্যস্ত। মিশিগান অঙ্গরাজ্যকে অনেকে রিপাবলিক রাজ্য বললেও ডেট্রয়েট ও এর চারপাশে ডেমোক্রেটদের আধিপত্য। অঙ্গরাজ্যের বাংলাদেশী অধ্যুষিত হামট্রমিক, ট্রয়, রচেস্টার হিলস, নোভাই, কেন্টন, ডেট্রইট, স্টারলিং হাইট, সাউথ ফিল্ড, এনারবার, ওয়ারেনসহ পার্শ্ববর্তী শহরে বাংলাদেশী ভোটারের সংখ্যা নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর বলে মানেন দু’দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মিশিগানের বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সংগঠন মিশিগান বাংলাদেশ ডেমোক্রেটস ককাস (মি-বিএডিসি) প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশী-আমেরিকান ভোটারদের অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছে। প্রেসিডেন্ট ডিবেটসহ সব আলোচনায় এবারের নির্বাচন ইমিগ্রান্টদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর এ নির্বাচনে বাংলাদেশী ভোটারদের উপস্থিতি জানান দিতে বিএডিসি শনিবার বিশাল ইলেকশন র্যালির আয়োজন করছে।
আগামী ৮ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এর মাধ্যমে দেশটির ইতিহাসে বহু বিভক্তি সৃজক ও নাটকীয় ঘটনার ইতি ঘটবে। মিঃ ট্রাম্প বলে রেখেছেন, মিজ ক্লিন্টন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি মেনে নাও নিতে পারেন। তার মনে হচ্ছে মার্কিন নির্বাচন রিগিংয়ের শিকার হতে পারে।
একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ার পর অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন একেবারে হাঁটতে হাঁটতে হোয়াইটওয়াশে ‘ফার্স্ট ম্যান’ হতে চলেছেন হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক সপ্তাহখানেক আগে হিলারির বিরুদ্ধে এফবিআই প্রধানের ইমেল তদন্ত গুলিয়ে দেয় হিসেব। যে হিলারিকে ৯ থেকে ১১ শতাংশে ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে রেখেছিল অধিকাংশ মার্কিন সংবাদমাধ্যম, তারাই আবার অন্য হিসেব দেন। হিলারির সন্দেহজনক ইমেল কা- বেশ ধাক্কা দেয় মার্কিনীদের। ওয়াশিংটন পোস্ট-এবিসি নিউজের সমীক্ষা বলে, ট্রাম্প পেতে চলেছেন ৪৬ শতাংশ ভোট, হিলারি ক্লিনটন ৪৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে আগামী মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ভোটের আগে হঠাৎ হোয়াইট হাউসের লড়াই জমে উঠেছে। অনেকেই বলছেন, ট্রাম্প যদি আবার নতুন করে বিতর্কে না পড়েন বা এলোপাথাড়ি কিছু না বলেন, তাহলে হিলারি বেশ চাপে থাকবেন। যদিও এখনও হিলারিই এগিয়ে রয়েছেন। এর একটা কারণ যদি হয় রিপাবলিকানদের একাংশে ট্রাম্পকে নিয়ে বিদ্বেষ, তাহলে অন্য একটা কারণ হল বহু আমেরিকান হিলারির ইমেল তদন্তের আগেই ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
‘গাধা-হাতি’র লড়াই
হাতি বনাম গাধা। কে জিতবে বলুন তো এই লড়াইতে? কী ভাবছেন, এ আবার কেমন বেআক্কেলে প্রশ্ন তাই না? কিন্তু এটাই তো এখন পৃথিবীর সবচেয়ে দামী প্রশ্ন। কারণ, এই প্রশ্নের উত্তরই ঠিক করে দেবে আগামী চার বছরের জন্য আমেরিকার শাসনভার কার হাতে যাবে। যদিও বিতর্ক রয়েছে তবুও অনেকেই মনে করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টই কার্যত বিশ্বের শাসনকর্তা। সুতরাং, বুঝে নিন হাতি ভার্সেস গাধার লড়াইটা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ।
আমেরিকার সাধারণ নির্বাচনে অবধারিতভাবেই হাতি-গাধা আসছে। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রতীক যে ওগুলোই। এতদিনে সকলেই জেনে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। তা সেই ট্রাম্প যে রিপাবলিকান দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেই দলের দলীয় প্রতীক বা চিহ্ন হল ‘হাতি’। ১৮৫৪ সালে মার্কিন রিপাবলিকান দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ছয় বছর পর সেই দলের প্রথম প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেন আব্রাহাম লিঙ্কন। লিঙ্কনের ওই ঐতিহাসিক জয়ের পর একটি রাজনৈতিক কার্টুনে রিপাবলিকানদের এই জয়ের সূচক হিসেবে একটি হাতির ছবি ছাপা হয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময়কার একটি সাময়িক পত্রিকাতেও হাতির ছবি ছাপা হত। বলা হয়, ‘হাতি দেখতে পাওয়া’- এই অভিব্যক্তির মাধ্যমে যোদ্ধারা যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাকে ব্যাক্ত করে থাকতেন। সেই থেকেই রিপাবলিকান দলের চিহ্ন হিসাবে হাতিকেই দেখা যাচ্ছে। তবে, দলীয় প্রতীক হিসাবে হাতি জনপ্রিয়তা লাভ করে ১৮৭০ সালে আধুনিক রাজনৈতিক কার্টুনের জনক টমাস ন্যাস্টের হাতে পড়ে।
অপরদিকে, হিলারি ক্লিন্টন বা বারাক ওবামার ডেমোক্র্যাট দলের দলীয় প্রতীক হল - ‘গাধা’। ১৮৭০ সাল নাগাদ সেই টমাস ন্যাস্টের হাত ধরেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ডেমোক্র্যাটদের গাধাও। তাহলে এবার বুঝুন পৃথিবী শাসনের ভার কাদের হাতে যেতে চলেছে। বেশি চয়েস কিন্তু আমেরিকান দের হাতে নেই, হয় হাতি নয়তো গাধা। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি, নিউইয়র্ক টাইমস।
তবুও হিলারিই প্রেসিডেন্ট হবেন : অ্যাসাঞ্জ
হিলারি সংক্রান্ত বিভিন্ন ই-মেইল ফাঁসের মধ্যদিয়ে মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়েছে উইকিলিকস। তবু দুনিয়াজুড়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের জনবিরোধী গোপন তথ্য ফাঁস করা এই বিকল্প সংবাদমাধ্যমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মনে করছেন, সবকিছুর পরও হিলারিই প্রেসিডেন্ট হবেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন অ্যাসাঞ্জ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুবিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত সুবিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক জন পিলজার।
ডেমোক্র্যাট শিবিরের অভিযোগ, উইকিলিকসের ফাঁস করা নথির সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগ রয়েছে এবং হিলারি ক্লিনটনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারিয়ে দিতেই সেগুলো ফাঁস করা হয়। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অ্যাসাঞ্জ। আরটির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অ্যাসাঞ্জের কাছে উইকিলিকস কর্তৃক হিলারির ইমেইল ফাঁসে রুশ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চান পিলজার। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ট্রাম্পকে নির্বাচনে জেতাতেই উইকিলিকস হিলারির ইমেইল ফাঁস করেছে কি না।
জবাবে অ্যাসাঞ্জ ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্লেষণ অনুযায়ী ট্রাম্পকে জিততে দেয়া হবে না। কেন এটা বলছি? কেননা সামগ্রিক মার্কিন এস্টাবলিশমেন্টের কোনো অংশই তার সঙ্গে নেই। ইভানজিলিক্যালস ছাড়া (যদি আদৌ তাকে এস্টাবলিশমেন্ট বিবেচনা করা হয়) আ কোনো এস্টাবলিশমেন্ট তার সঙ্গে নেই।’
পিলজারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হিলারির জয়ের সম্ভাব্যতার ব্যাপারে অ্যাসাঞ্জ আরো বলেন, ‘ব্যাংক, গোয়েন্দা সংস্থা, অস্ত্র ব্যবসার কোম্পানিগুলো, কিংবা বিদেশি তহবিল সব একত্রিত হয়ে হিলারির পাশে দাঁড়িয়েছে। এমনকি মিডিয়াও তাই। মালিক-সাংবাদিক সবাই হিলারির সঙ্গে আছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।