পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : কক্সবাজারে সাগরপথে মানবপাচারে জড়িতদের অর্থের উৎস খুঁজতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিট। এজন্য ৪৬১ জনের একটি তালিকা করে তা পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে। তালিকায় নাম রয়েছে সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাই ও ভাগ্নেসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির। সাগরপথে ঝুঁকিপূর্ণ মানবপাচার। যার প্রধান রুট কক্সবাজার। এই এলাকা হয়ে মানবপাচারের একের পর এক লোমহর্ষক খবর গেল বছর পর্যন্ত বেশ নাড়া দেয় গোটা দেশকে। এরপর টনক নড়ে প্রশাসনের। বাড়ে সব সংস্থার তৎপরতা।
অভিযোগ আছে, এই অবৈধ কর্মকা- ঘিরে লেনদেন হয় বিপুল অর্থের। তাই, চিহ্নিত মানবপাচারকারীদের অর্থ লেনদেনের তথ্য যাচাইয়ের এই উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট। এজন্য তারা ৪৬১ সন্দেহভাজনের একটি তালিকা পাঠায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে। এসব ব্যক্তির নামে ব্যাংক হিসাব থাকলে তাতে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রতি বিশেষ নজর রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। তালিকাভুক্ত সবার বাড়িই কক্সবাজার অঞ্চলে।
এরমধ্যে ৩৫৯ জনই টেকনাফের বাসিন্দা। এছাড়া সন্দেহভাজনদের ৪২ জন মিয়ানমারের নাগরিক। আর ৫ জনের অবস্থান মালয়েশিয়ায়। তালিকাভুক্তদের ১শ’ জন আবার বিভিন্ন মানবপাচার মামলার আসামী। এরমধ্যে উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাই ও ভাগিনার নামও আছে।
রয়েছেন কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও তাদের স্বজন। তবে এমন তালিকা পাঠানোর কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। যদিও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কক্সবাজারে পাচাররোধে সোচ্চার বিভিন্ন ফোরামের নেতারা। সন্দেহভাজনদের আর্থিক ভিত ভেঙে দেয়া গেলে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার পুরোপুরি বন্ধ হবে বলে মত স্থানীয়দের।
যদিও গত বছর কক্সবাজারে গিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, সাগরপথে মানবপাচার ও সাগরে নৌদস্যুতার সঙ্গে জড়িতরা যত বড় গডফাদারই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরদিকে এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শুধু চাকরিচ্যুতই করা হবে না, মামলা করে বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।