পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না। ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ডিবি, র্যাব, সোয়াটের টিম ও ডগ স্কোয়াড থাকবে। ছয় স্তরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে আসবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তারা আসবেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেই সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহীদ মিনার কেন্দ্রীক চারিদিকে যে রাস্তা রয়েছে তার প্রত্যেকটিতে পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। চেকপোস্টের বাইরের এলাকা ও ভেতরের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে।
এবার কোভিডের জন্য কিছু বিধিনিষেধ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানার ক্ষেত্রে সরকারঘোষিত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যেসব নির্দেশনা রয়েছে তা সবাইকে মেনে চলার অনুরোধ। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে আপনি আপনার পরিবারের কাছেই ফিরে যাবেন। সুতরাং আপনার নিরাপত্তা ও আপনার পরিবারের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কেউ কোনো ধরনের ব্যাগ বহন করতে পারবে না। নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ প্রতিবছর এই শহীদ মিনার এলাকা থেকে প্রচুর মোবাইল ফোন চুরি হয়। শত শত মানুষ লাইনে থাকে। এতে করে মোবাইল চুরির বিষয়টি ধরা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে যায়। সোয়াট টিম, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে পুরো এলাকা তল্লাশি করা হবে। আমাদের পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকেও বিশেষ তল্লাশি করা হবে।
কোনো রাজনৈতিক ব্যানার-ফেস্টুনে যাতে এলাকা নোংরা না হয় সেজন্য সবাইকে অনুরোধ করবো। আর যদি কেউ এসব ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে থাকেন তাহলে ঢাবি ও ডিএমপি যৌথভাবে সেগুলো অপসারণ করবে। বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের আলাদাভাবে শহীদ মিনারে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, অতি উৎসাহের কারণে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে উল্টোপথে আসার চেষ্টা করেন। তাদের কারণে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো আপনাদের কাছ থেকেই জাতি শৃঙ্খলা শিখবে। দয়া করে নিয়ম মেনে চলবেন। যে রাস্তা দিয়ে আসার অনুরোধ করছি সে রাস্তা দিয়েই আসবেন। উল্টোপথে এসে অন্যদের বিরক্ত করবেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।