পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কোনো অবস্থাতেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে দেয়া হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আপনারা নিজেদের ‘মাইনরিটি’ ভাববেন না। বাংলাদেশে আপনাদেরও সমান অধিকার। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের লোকজন কেউ ‘মেজরিটি’ মাইনরিটি বলে সমান অধিকার পাচ্ছে না। সমান অধিকার পাচ্ছে এ দেশের নাগরিক হিসেবে। নিজেদের ‘মাইনরিটি’ ভাববেন না, মাথা উঁচু করে বাঁচবেন, মাথা নিচু করবেন না। তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যারা অপরাধী, তাদের কঠোর শাস্তি পেতেই হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বনানীতে মডেল স্কুলে গারোদের ‘ওয়ানগালা’ (নবান্না) উৎসবের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাহসের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের চ্যালেঞ্জ অতিক্রমের আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। জীবন হচ্ছে একটা সংগ্রাম। যে আকাশে মেঘ নেই, সেটা আকাশ নয়। যে নদীতে ঢেউ নেই, সেটা নদী নয়। যেখানে গর্জন নেই, সেটা সাগর নয়। দুর্যোগ যেখানে নেই, সেটা প্রকৃতি নয়। এটাই বৈচিত্র। নদীতে ঢেউ থাকবে। সাগরের গর্জন থাকবে। আকাশে মেঘ থাকবে। এই যে বৈচিত্র; সব কিছু মিলিয়ে আমাদের এই বাংলাদেশ। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব জীবনের
চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবেন সাহসের সঙ্গে।
সন্ত্রাস নির্মূলে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, আমরা নির্বিকার নই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে। যারা এ অপরাধ করেছে, শাস্তি তাদের পেতেই হবে।
কাদের বলেন, আজকে ‘মাইনরিটির’ উপর কেউ যদি কোনো ধরনের হামলা চালায়, কোনো প্রার্থনালয়ে, তাদের বাড়িতে, মন্দিরে, সরকার এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে। তাদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। আপনারা ভয়কে জয় করবেন, আপনাদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছে। আমরা কোনোভাবে আপনাদের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে দেব না।
‘ওয়ানগালা’ উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি নকমা দুর্জয় তজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য রেমন্ড আরেং।
এর আগে সকালে দেবতাদের পূজার মাধ্যমে গারোদের এ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। পাহাড়ি জুমচাষকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর এ ওয়ানগালা উদযাপিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।