পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের ভোপালে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আট মুসলিম ছাত্রনেতার মৃত্যুর ঘটনা নতুন মোড় নিচ্ছে। সর্বশেষ একটি অডিও টেপ ফাঁস হওয়ার পর সমালোচনার আগুনে নতুন করে যেন ঘি পড়েছে। ওই অডিও টেপ শুনে ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকেই ছাত্রনেতাদের হত্যার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যাকা-ের অভিযোগ আরও পাকাপোক্তভাবে উঠেছে। তবে অডিও টেপটির গ্রহণযোগ্যতা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
ওই অডিও টেপে শোনা গেছে, সবাইকে হত্যা কর বলে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এর উত্তরে বলা হচ্ছে, পাঁচজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। কিছুক্ষণ পরই কন্ট্রোলরুমকে জানানো হয়, আটজনকেই মেরে ফেলা হয়েছে। তখনই পুলিশ সদস্যরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। একপক্ষ অপরপক্ষকে ধন্যবাদও জানান। আর কন্ট্রোলরুম থেকে বলা হয়, অবস্থা নিয়ন্ত্রণে দ্রুতই অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। নয় মিনিটের ওই অডিও টেপটি কন্ট্রোল রুম থেকেই ধারণ করা হয়েছে এবং এ ঘটনার কোন নীরব সাক্ষী তা ফাঁস করে দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত রবিবার গভীর রাতে ভোপালের কেন্দ্রীয় কারাগারে এক কারারক্ষীকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ছাত্রসংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া- সিমির ওই আট সদস্য পালিয়ে যান বলে দাবি করে পুলিশ। সোমবার সকালেই ভোপালের অদূরে ইতখেড়ি গ্রামের কাছে মালিখেড়া নামক স্থানে পুলিশ ও এন্টি-টেররিজম স্কোয়াডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পলাতক সিমি সদস্যরা নিহত হন বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনার পর মমতা ব্যানার্জি এটাকে রাজনৈতিক হত্যাকা- বলে তোপ দাগেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
অবশেষে চাপে পড়ে ৮ সিমি বন্দির ভোপাল জেল থেকে পালানো এবং পরে তাদের এনকাউন্টারকে ঘিরে তৈরি বিতর্কের নিষ্পত্তি করতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। গত বৃহস্পতিবার রাতে, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান এই তদন্তের নির্দেশ দেন। রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস কে পা-ের নেতৃত্বে তদন্ত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভোপাল জেল থেকে সিমি সদস্যদের পালানো থেকে শুরু করে তাদের ‘এনকাউন্টার’ সবকিছুই খতিয়ে দেখবে ওই তদন্ত কমিটি। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই মধ্যপ্রদেশ উচ্চ আদালতে এই মর্মে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে ভোপালের জেল থেকে পাঁচিল টপকে পালায় ৮ বিচারাধীন সিমি সদস্য। পালানোর সময় তারা পাহারারত হেড কনস্টেবল রামশঙ্কর যাদবকে হত্যা করে বলে অভিযোগ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সকলকেই এনকাউন্টার করে মারে পুলিশ।
আর এই এনকাউন্টারকে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। কারণ, পুলিশ ও রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ভিন্ন তত্ত্ব দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে বিতর্কিত দৃশ্য ধরা পড়ে।
কোথাও দেখা যায়, এনকাউন্টার ঘটনাস্থলে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি অন্য একজনের (সন্দেহজনক বন্দি) কোমর থেকে প্লাস্টিকে মোড়া একটি ছোরা বের করে ফের কোমরে ঢুকিয়ে দিল। এরপরই এক পুলিশকর্মী খুব কাছ থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে গুলি করছে। অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি টিলার ওপর দাঁড়িয়ে (বন্দিরা) পুলিশের উদ্দেশে হাত নেড়ে কোনও বার্তা দিতে চাইছে। যার জেরে বিরোধীরা অভিযোগ করে, এনকাউন্টারটি ‘ফেক’ বা ভুয়া ছিল। অর্থাৎ, পুলিশ সাজানো সংঘর্ষে ওই ৮ জনকে হত্যা করেছে। ফলে, প্রথমে তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েও কার্যত বাধ্য হয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল শিবরাজ প্রশাসন। সূত্র : এবিপি আনন্দ ও ওয়বসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।