পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদোর মোদি ‘বিশ্বের সেরা পদ্ধতি হিসেবে’ বাংলাদেশের কমিউনিটিভিত্তিক সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন। সেই সাথে যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম তথ্য আদান-প্রদান জোরদার করতেও সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত।
ভারতের রাজধানী দিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক এশিয়ার মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গত বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বৃহৎ কমিউনিটিভিত্তিক সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম চালু করেছে। এটি সাইক্লোনে প্রাণহানি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি এখন বিশ্বের সেরা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।
দিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এশিয়ার ৬০টিরও বেশি দেশের মন্ত্রী, কর্মকর্তা এবং পরিবেশবাদীরা তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।
মায়া চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের আগাম সতর্কতা প্রদান ব্যবস্থার দক্ষতা রয়েছে এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে একটি আদর্শ মডেল স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ সাইক্লোন ও বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের রক্ষায় ৩৮৫১টি সাইক্লোন এবং ১৪২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। সাইক্লোন ঝুঁকি মোকাবেলায় দেশে ৫৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং শহরাঞ্চলে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ৩২ হাজারেরও বেশি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে পরিবেশবান্ধব সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর বৈঠকে যে কোনও ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম তথ্য আদান-প্রদান জোরদার করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে একমত হয়েছে দুই দেশ। গতকাল (শুক্রবার) ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লীতে তার কার্যালয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সাক্ষাৎকালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ, ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব অশীল কুমার উপস্থিত ছিলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গঙ্গা বা তিস্তা ব্যারেজের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে দু’দেশের সহযোগিতা আরও নিবিড় করতে উদ্যোগ নিতে মায়া চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। এর ফলে বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা আরও সুসংহত হবে বলে মন্ত্রী ভারতকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভারতের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশেষত দুর্যোগের আগাম তথ্য বিনিময়ে ভারতকে আরও আন্তরিক হতে রাজনাথ সিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।