পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বয়সে তরুণ ছেলেটি কম খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত থাকত। পাশাপাশি সামাজিক কর্মকা-ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিল সবার মাঝে। অসহায় দুস্থ্যদের জন্য গড়ে তুলেছিল ‘এফএইচএলই’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। অথচ আজ দূরারোগ্য ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন তিনি। চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব এই তরুণ, নিঃস্ব তার পরিবার। চিকিৎসকরা বলে দিয়েছেন, প্রায় ৪০ লাখ টাকা লাগবে তার চিকিৎসায়। তাতে সম্পন্ন হবে অ্যালিজিনো বোনম্যারো প্রতিস্থাপন, সুস্থ্য হয়ে উঠবেন তিনি। ফিরতে পারবেন নিজের কর্ম এবং সামাজিক ভূবনে, একমাত্র সন্তানের কাছে। শিক্ষক স্বামীকে বাঁচাতে ছুটছেন স্ত্রী। ছুটছেন দুই ভাই। বন্ধুরা চেষ্টা করছেন।
ক্যান্সার আক্রান্ত এই তরুণের নাম হাফিজুল ইসলাম। রাজধানীর হাজারীবাগেই ‘বাংলাদেশ ক্যাডেট একাডেমি’ নামে একটি বেসরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। পাশেই ‘আহসান একাডেমি’ নামের আরেকটি একাডেমিক কোচিং সেন্টার। দুই জায়গাতেই খুবই কম খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করেন। স্ত্রী ফাতেমা আক্তার তার এ অভিযাত্রার সঙ্গী। এখন হাসপাতালের বেডে কাটছে পুরো সময়। মরণব্যাধি ‘ব্লাড ক্যান্সার’ ঝাঁঝড়া করে ফেলেছে তার পুরো শরীর। এখন শুধুই একটু বাঁচার আকুতি। বাঁচার আকুতি একমাত্র পুত্রসন্তান ছয় বছরের হাসিবের জন্য। হাফিজুল ইসলাম বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘এইচডিইউ’তে ডা. এম এ খানের অধীনে চিকিৎসাধীন। এখানকার ৪ নম্বর বেডে কাটছে তার দিন। কষ্ট ভরা কণ্ঠে হাফিজুল বলেন, আমি জীবনের পথে আরো হাঁটতে চাই আমার ৬ বছরের ছেলেটার জন্য। আমার দেশটার জন্য।
নিজের জমানো টাকাসহ আত্মীয়-স্বজন থেকে পাওয়া অনুদানে ইতোমধ্যে দেশের নামী-দামি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন হাফিজুল। এখানকার ডাক্তারদের পরামর্শে ভারতের মাদ্রাজ থেকেও চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু অর্থের টানাপড়েনে পুনরায় দেশে এসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্ত্রী ফাতেমা জানিয়েছেন, ডাক্তাররা বলছেন, হাফিজকে বাঁচাতে হলে তার অ্যালিজিনো বোনম্যারো পুনস্থাপন করতে হবে। যেটি বাংলাদেশে নয়, ভারতে করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ২৫ লাখ রুপি। এ ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসা করাতে তার প্রায় ৮ লাখ রুপি লাগবে (যা বাংলাদেশি টাকায় মোট ৩৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৬ টাকা)। সঙ্গে ৬ মাস ভারত থেকে চিকিৎসা নেয়ার মতো প্রস্তুতি থাকতে হবে পরিবারের। এতো টাকা খরচ করে স্বামীর চিকিৎসা করা ফাতেমা আক্তারের কাছে অসম্ভব চিন্তা ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু একটাই আশা, দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবান ব্যক্তিরা তার স্বামীকে ক্যান্সারের কবল থেকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। মানুষের সহানুভূতিতে জীবন জয়ী হবে, হারবে কর্কট। হাফিজুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টÑ ১৫৩৬২০১৬৩২৩৮৪০০১ (ব্র্যাক ব্যাংক, হাজারীবাগ শাখা) এ পাঠানো যাবে টাকা। এ ছাড়া তার বিকাশ নম্বরেও পাঠাতে পারবেন আর্থিক সহযোগিতা। বিকাশ অ্যাকাউন্টÑ ০১৮১৩৬১৩৪১০। চলুন সবাই মিলে হারিয়ে দেই কর্কটকে। বাঁচিয়ে তুলি স্নেহময় এক তরুণ পিতা তথা প্রাণবন্ত দায়িত্বশীল তারুণ্যকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।