পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির-বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগ মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে একটি মিছিল গতকাল শুক্রবার দুপুরের আগে টিএসসি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে অন্যান্য সংগঠনের সাথে নাসিরনগরের ঘটনার প্রতিবাদে মানবন্ধনে অংশ নেয়। পরে বেলা সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগে এসে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে করে অংশগ্রহণকারীরা। বিক্ষোভকারীদের শ্লোগান ছিল, আমার ঘরে হামলা কেন/ প্রশাসন জবাব চাই। আমার মন্দির ভাঙল কেন/ প্রশাসন জবাব চাই।
এ অবরোধের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা শাহবাগ মোড় হয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা থেকে ফেরার পথে ওই বিক্ষোভে আটকা পড়েন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হানিফের গাড়ি থেকে একজন নেমে এসে গাড়িটি ছেড়ে দিতে বললে অবরোধকারীরা আপত্তি তোলে। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগি¦ত-ায় জড়ালে বিক্ষোভকারীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় হানিফের গাড়িতে কয়েকজনকে লাথি মারতে দেখা যায়। কয়েকটি জুতাও এসে গাড়ির ওপর পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
পরে হানিফ বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, নাসিরনগরে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিল। সব গাড়িই আটকে গিয়েছিল। পরে আমি নেমে কথাবার্তা বলায় শিক্ষার্থীরা চলে গেছে।
‘ইসলাম অবমাননার’ অভিযোগ উঠার পর গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসির উপস্থিতিতে সমাবেশে ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যের পর ওই হামলার ঘটনা ঘটায় স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। এরপর গতকাল শুক্রবার সকালে একই এলাকায় হিন্দুদের পাঁচটি ঘর ও মন্দিরে আগুন দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।