পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বোরকা পরিহিত মুসলিম নারীদের বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। ওই বিক্ষোভের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ লাঠি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। এ সময় এক নারী বিক্ষোভকারী পুলিশের লাঠিচার্জ থামানোর চেষ্টা করছেন। ঘটনাটি গত রোববার ঘটলেও বুধবার এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা যায়।
কর্ণাটকের একটি কলেজে প্রথম হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর কর্ণাটকসহ দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ চলছে। হিজাব নিষিদ্ধের বিষয়টি নিয়ে দেশটির উচ্চ আদালতে শুনানি চলছে। ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কিছু মানুষ পুলিশের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। আর পুলিশ বলছে, তারা ভিডিওটি খতিয়ে দেখছে। এ ছাড়া পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে থানায় প্রাথমিক অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করেছে।
এফআইআরে পুলিশের অভিযোগ, প্রায় ১৫ জন মুসলিম নারী গাজিয়াবাদের সানি বাজার রোডে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করছে এমন খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ সেখানে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীরা উচ্চস্বরে সেøাগান দিতে থাকে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে গাজিয়াবাদ ইন্দিরাপুরামের এক পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘটনাটি রোববার ঘটেছে। পুলিশ যখন টহল দিচ্ছিল তখন তারা ১০-১৫ জনের এই বিক্ষোভের বিষয়ে অবগত হয়। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
এদিকে, প্রকাশ্যে হিজাব পরা সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ভারতের মধ্য প্রদেশের ভোপালের বিজেপির এমপি প্রজ্ঞা ঠাকুর। গত বুধবার মধ্য প্রদেশের একটি মন্দিরের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এমনটি বলেন। প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, প্রকাশ্যে হিজাব পরার দরকার নেই। কারণ হিন্দুরা নারীদের পূজা করে। আপনি যদি দেশের স্কুল-কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন এবং হিজাব পরা শুরু করেন, তাহলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, হিজাব হলো একটি পর্দা। যারা আপনাকে খারাপ নজরে দেখছে, তাদের থেকে আড়াল করার জন্য পর্দার ব্যবহার প্রয়োজন। কিন্তু এটি নিশ্চিত যে হিন্দুরা তাদের খারাপ নজরে দেখে না। কারণ হিন্দুরা নারীদের পূজা করে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক শুরু হয়। গত ২৮ ডিসেম্বর কর্ণাটকের উড়ুপি জেলার একটি সরকারি কলেজে হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। তারপর জায়গায়, জায়গায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী তিন দিনের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিক্ষোভরত একটি মেয়ে আদালতে এ নিয়ে আবেদনও করে। বর্তমানে কর্ণাটকের হাইকোর্টে মামলাটি বিচারাধীন। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া অবধি কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে ধর্মীয় পোশাক পরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া যাবে না। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।