পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করার লক্ষে বাম ঘরানার দলগুলো একটি আলাদা জোট গঠন করতে যাচ্ছে। এ লক্ষে গতকাল গণফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। বৈঠকে বর্তমান সরকারের শ্বাসরুদ্ধকর দুঃশাসন থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমাজের সর্বস্তরের দেশপ্রেমী জনগণের ঐক্য কীভাবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আজ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে এক রূপরেখা তুলে ধরবে গণসংহতি আন্দোলন।
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোহসীন রশিদ, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোজাম্মেল হোসেন মোশতাক এবং ইফতেখার আহমেদ বাবু।
আলাপকালে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, দেশে চলমান গভীর সংকট নিরসনে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার সম্পন্ন দেশ গড়ে তুলতে হবে, যা বর্তমানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
তিনি বলেন, সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা দেখলাম- যে পুলিশ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে সর্বপ্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তাদের দিয়েই জনগণের ভোট মধ্যরাতে চুরি করিয়েছে এ সরকার। যে সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়েছে তাদের ভোট চুরির পাহারাদার করে জনগণের অধিকার হরণ করেছে এ সরকার। তাই জনগণের অধিকার আদায়ে রাজপথে আন্দোলন ব্যতীত ভিন্ন কোনো পথ খোলা নেই। আর এ আন্দোলনের জন্য সকলের ঐক্য প্রয়োজন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিদ্যমান কর্তৃত্ববাদী সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করতে না পারলে ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন কোনো কিছুই অর্জন করা যাবে না। এই সংগ্রামে জিততে হলে রাজপথে বিরোধী দলগুলোর সমন্বিত ও কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এই সংগ্রামে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, শুধু সরকার পরিবর্তন বা বদলের জন্য নয়। দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করতে হবে।
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, আগের যেকোনো স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী দখলদার সরকারের চেয়ে বর্তমান অবৈধ সরকার অনেক বেশি ধূর্ত, ভণ্ড ও নৈতিকতাহীন। এদের হটাতে গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দল-মতের এ টু জেড ঐক্য দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।