পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : ‘কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শালঝোড় সীমান্তে বিএসএফের বেধড়ক মারপিটে আব্দুল গণি (৪০) নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়। আহত হয় আলাউদ্দিন (৩০) ও রইস উদ্দিন (২৫) নামের অপর দু’জন গরু ব্যবসায়ী। সোমবার ভোররাত ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আহত আলাউদ্দিন ও রইস উদ্দিন পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও নিহত গরু ব্যবসায়ীর লাশ বিএসএফ নিয়ে যায়। পরে তারা ঐ সীমান্তের ৯৮৮ নম্বর সীমানা পিলারের পার্শ্ববর্তী কালজানী নদীর পাড়ে পানির মধ্যে লাশটি ফেলে রাখে। এলাকাটি জিরো লাইন ঘেঁষা বাংলাদেশের ভূ-খ-ের অভ্যন্তরে অবস্থিত। নোম্যান্স ল্যান্ড হওয়ায় সেখানে কেউ যেতে পারেনি। বিজিবি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। নিহত আব্দুল গণি শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামের সুজুর উদ্দিনের পুত্র। বিজিবি এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানালে দু’দফা পতাকা বৈঠকের পর লাশ হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি’র সুবেদার তরিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে প্রথমে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২০ মিনিট স্থায়ী পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ২০ মিনিট স্থায়ী পতাকা বৈঠকটি হয়।
তিনি আরো জানান, বৈঠকে বিজিবি পক্ষে ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল জাকির হোসেন এবং বিএসএফ পক্ষে ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট এ কে শিং নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বিজিবি পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। তবে বিএসএফ পক্ষ গরু ব্যবসায়ীদের ধরে নিয়ে নিয়ে যাওয়া, মারপিট এবং হতাহত করার কথা অস্বীকার করেছেন। তাহলে হতাহতের ঘটনা কীভাবে ঘটলো তার কোন জবাব দেয়নি বিএসএফ পক্ষ।
শিলখুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জানান, শালঝোড় কাজিয়ার চর সীমান্তের ৯৮৮ নম্বর সীমানা পিলারের পার্শ্ববর্তী এলাকা দিয়ে সোমবার ভোর রাতে কয়েকজন ব্যক্তি গরু আনার জন্য ভারতের ভূ-খ-ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ঝুলোলী ক্যাম্পের টহল দল আব্দুল গণি এবং আলা উদ্দিন ও রইস উদ্দিনকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক মারপিট করে। এতে ঘটনাস্থলে আব্দুল গণি নিহত এবং আলা উদ্দিন ও রইস উদ্দিন আহত হন। আহত অবস্থায় রইস উদ্দিন ও আলাউদ্দিন পালিয়ে এসে প্রথমে ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে তারা রংপুরে অবস্থান করে পরিচয় গোপন করে উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছে। গ্রেপ্তার এবং পরবর্তী আইনি জটিলতার কারণে বিস্তারিত তথ্য জানাতে কেউ রাজি হচ্ছেন না। বিএসএফ পরে নিহত আব্দুল গণির লাশ নিয়ে যাওয়ার পর কৌশলে সীমান্তবর্তী কালজানী নদীর পাড়ে ফেলে দিয়ে যায়।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া লতিফুল ইসলাম জানায়, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পর বিকাল ৫টার দিকে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুড়িগ্রামস্থ ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তবে বিএসএফ পক্ষ এ ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।