Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুজব ও গণপিটুনি রোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা

হাইকোর্টের লিখিত রায় প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনির ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে ৫ দফা নির্দেশনা সম্বলিত হাইকোর্টের লিখিত রায় প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রিটকারী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাত পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়েছি। রায়ে হাইকোর্ট ৫ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার প্রেক্ষাপটে জারি করা রুলের রায় প্রদানকারী বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ রায় দিয়েছিলেন। নির্দেশনাগুলো হচ্ছেÑ (১) গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম ইলেকট্রনিক এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রাখবে। (২) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরণের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা, যা গুজব সৃষ্টি যা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা নেবে। যে দুষ্কৃতকারীরা এ কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (৩) যখনই গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটবে, কোনো দেরি না করে তখনই থানার ওসি এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবেন এবং দ্রুত সার্কেলের মনোনীত বিশেষ অফিসারকে অবহিত করবেন। (৪) দেশের প্রতিটি থানার তদন্তকারী সার্কেল অফিসার এ ধরণের মামলাগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করবেন। (৫) গণপিটুনিতে হত্যার আগে তাসলিমা বেগম রেনু উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হেফাজতে ছিলেন। সুতরাং উক্ত প্রধান শিক্ষক তার পদে থাকার উপযুক্ত কি-না তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতায় রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চান আদালত।
একটি গুজবকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।

এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গুজবকে কেন্দ্র করে ওই সময় দেশজুড়ে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছিল। ২০ জুলাই উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্টের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ