পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনে সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন ঘটানো সম্ভব হলেও এখন সেই আদর্শিক রাজনীতি ‘বিচ্যুতিতে’ কষ্ট আর হতাশার কথা উঠে এল স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মুখ থেকে।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনায় ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে গতকাল সোমবার শিক্ষা ভবনের সামনে ‘শিক্ষা ও গণতন্ত্র স্মৃতিস্তম্ভে’ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক ছাত্রনেতারা। অতপর ১৯৮২-৯০ স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দের ব্যানারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তারা আলোচনা সভায় অংশ নেন। এরশাদের সময়ে প্রণীত মজিদ খান কমিশনের শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলা ভবনের সামনে বটতলায় মিলিত হন। দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবনের দিকে এগোলে গুলি চালানো হয়। এই আন্দোলনে জয়নাল, জাফর, কাঞ্চন, দিপালী সাহা, মোজাম্মেল, আইয়ুবসহ অন্তত ১০ শিক্ষার্থী নিহত হন। দুর্বার আন্দোলনের মুখে ১৮ ফেব্রুয়ারি সেই শিক্ষানীতি বাতিল করতে বাধ্য হয় এরশাদ সরকার।
সেই পথ ধরেই গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ’৯০ সালে এরশাদের পতন ঘটে। সেই আন্দোলনের নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির নূর আহমেদ বকুল বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে এত দীর্ঘ সময় ছাত্র আন্দোলন চলমান থাকবে, এটা আসলেই অনেক দুরূহ ছিল। আমরা যারা নেতৃত্বে ছিলাম তারা এখন অস্তিত্বহীনতায় একটা জায়গায় আছি। হয়ত কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত আছি চুপ করে, তবে দেশের জন্য দৃশ্যমান কোনো জায়গায় নেই।
সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতা বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা শফী আহমেদ আলোচনা সভায় বলেন, আমরা সেদিন বিজয়ী হয়েও পরে পরাজিত হয়েছি, তারাই জয়ী হয়েছে। এরশাদের পতন ঘটাতে পারলেও এখন আদর্শিক রাজনীতির দেউলিয়াত্ব প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এমন সমাজ চাইনি যেখানে গণতন্ত্র নেই, মানুষের বাক-স্বাধীনতা নেই। ছাত্র আন্দোলনের সর্বঐক্যের দশ দফা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এই মুহূর্তে দেশের যে সংকট চলছে সেটা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হবে কিনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক- এটাই আমরা চাই।
মুনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন আমরা আছি হিমাগারে, ২৮ জন নেতা ছিলাম, তাদের মধ্যে অনেকে যখন যেই দল ক্ষমতায় যায়, তাদের দলে থেকে যায়।
১৯৮২-৯০ স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক, তখনকার জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি মুনির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব তখনকার ছাত্রমৈত্রীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজুম মনিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা হয়। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন কবি মোহন রায়হান, তারেক আলী, লুৎফা হাসান রোজি, ফারুক আহমেদ প্রমূখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।