পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক এলসি বা ঋণপত্রের সার্বিক তথ্য যথাযথভাবে এবং যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন ব্যবস্থায় রিপোর্ট করতে ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা রয়েছে। তবে কোনো কোনো ব্যাংক এ নিয়ম পালনে গাফিলতি করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে আবারও নির্দেশনা দিয়ে সোমবার একটি সার্কুলার পত্র জারি করেছে। এছাড়া কয়েকটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার করে গ্রাহকদের ঋণ ছাড় করছে, যাকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই নিজস্ব লেনদেনের বাইরে তৃতীয় পক্ষের অনুকূলে অর্থ ছাড় করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার না করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল রোববার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
এলসি সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি জারি করা সার্কুলার পত্র অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত ব্যাংক শাখাকে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক এলসির তথ্য যথাযথভাবে এবং যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন ইমপোর্ট মনিটরিং সিস্টেমে (ওআইএমএস) রিপোর্ট করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো ব্যাংক তা করছে না। এছাড়া স্থানীয় বিলের বিপরীতে দেওয়া স্বীকৃতির তথ্য কোনো কোনো ইস্যুকারী ব্যাংক ওই ব্যবস্থায় রিপোর্ট করছে না। আবার কোনো কোনো ব্যাংক স্বীকৃতির তথ্য ওআইএমএস থেকে যাচাই না করেই স্থানীয় স্বীকৃত বিল কিনছে। এ কারণে বিল পরিশোধ নিয়ে জটিলতা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ইস্যুকারী ব্যাংক ওআইএমএসে এ ধরনের ঋণপত্রের যে তথ্য দিচ্ছে, তা যাচাই করে বেনিফিশিয়ারির অনুকূলে অ্যাডভাইস করতে হবে। স্থানীয় বিলের বিপরীতে দেওয়া স্বীকৃতির তথ্য ইস্যুকারী ব্যাংককে ওআইএমএসে যথাযথভাবে রিপোর্ট এবং স্বীকৃতির বিপরীতে স্থানীয় বিল কেনার ক্ষেত্রে একই সিস্টেম থেকে যাচাই করতে হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইস্যুতে এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ করা গেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার করে ঋণগ্রহীতা বা ঋণগ্রহীতার নির্বাচিত, মনোনীত বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগের অর্থ ছাড় করছে, যা বিধিসম্মত নয়। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার করে কোনো ঋণগ্রহীতা বা তাদের নির্বাচিত, মনোনীত বা সরবরাহকারীর অনুকূলে ঋণের টাকা ছাড় করতে পারবে না। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেক দিয়ে ঋণ বা লিজের অর্থ ছাড়ের তথ্য উঠে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।