পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের দুই নাগরিক সম্প্রতি পুলিশি নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর রাষ্ট্রকে ‘মানবিক’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র তুমি এমন কাজ করো না, যাতে নাগরিকদের মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তিনি পোস্ট ট্রমাটিক সমস্যা হতে পারেন, প্রতিবন্ধিতার শিকার হতে পারেন। আর তেমন কিছু হলে রাষ্ট্র কেন বৈষম্য বিলোপ আইন করে তার আওতায় ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে না- সেই প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম আয়োজিত ‘বৈষম্য বিলোপ আইন ও প্রতিবন্ধিতা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “প্রতিবন্ধিতার দুটো কারণ থাকতে পারে। একটি জন্মসূত্রে, আরেকটি কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে। বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতার আরেকটি কারণ অধুনা দৃষ্টিগোচর হয়েছে। রাষ্ট্রের কোনো সংস্থার বেআইনি কোনো কর্মকা-ের কারণে নাগরিক যদি প্রতিবন্ধিতার শিকার হয়, তাহলে রাষ্ট্র তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে।”
গত ৯ জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনিকেশন্স বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে আটক করে পুলিশ। রাব্বীর অভিযোগ, তাকে মাদকসেবী বানানোর ভয় দেখিয়ে এসআই মাসুদ অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। তাকে গাড়িতে নিয়ে ঘোরার সময় তার চোখের সামনে একই ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটায় পুলিশ। সে সময় রাব্বীকে মারধরও করা হয়। ডান হাতের কনুই ও বাঁ পায়ে ক্ষত নিয়ে তিনি এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনা নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই ১৫ জানুয়ারি ভোরে যাত্রাবাড়ি থানার এসআই আরশাদ হোসেন আকাশসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য মীরহাজীরবাগ এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাশকে মারধর করে বলে পরিবার ও করপোরেশনের কর্মীদের অভিযোগ। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত নিয়ে বিকাশও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মতবিনিময় সভায় ড. মিজানুর রহমান বলেন, “রাব্বী পোস্ট ট্রমাটিক স্টেজে আছেন। বিকাশ বাবু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে যেভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এরপর আমার তো মনে হয় তার পক্ষে সহজে নিদ্রা যাওয়াও কঠিন হবে। তিনি সময়ে অসময়ে ওই মূর্তিগুলো দেখবেন, কীভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল।”
কেউ প্রতিবন্ধিতার কারণে বৈষম্যের শিকার হলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নির্বিকার থাকবে না। বঞ্চনার শিকার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তার পাশে থেকে যা যা করা দরকার তা করবে, বলেন চেয়ারম্যান।
অন্যদের মধ্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী নাজরানা ইয়াসমিন হীরা, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডা. নাফিসুর রহমান ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি মো.সাইদুল হক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।